‘সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন’, পুলিশ কমিশনারকে চিঠি তৃণমূলের

সোমবার সকালে কোনও নোটিস ছাড়াই রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। গ্রেফতার তৃণমূলের আরও এক মন্ত্রী-সহ দু'জন। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘাসফুল শিবির।

'সিবিআই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন', পুলিশ কমিশনারকে চিঠি তৃণমূলের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: May 17, 2021 | 1:03 PM

কলকাতা: ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যপালের নির্দেশে যে সব সিবিআই আধিকারিক নেতাদের গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ চার নেতার গ্রেফতারির পর কলকাতা পুলিশকে দেওয়া চিঠিতে এই দাবিই জানাল তৃণমূল। চার নেতার গ্রেফতারি নিয়ে ই্তিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাব। এবার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন।

ওই চিঠিতে সরাসরি মোদী ও অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। চিঠিতে কোভিড পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে। বলা হয়েছে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। প্রাক্তন মেয়র তথা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম সেই লড়াইতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।’ এছাড়া গ্রেফতার করার আগে কেন কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

চিঠিতে তৃণমূলের সরাসরি অভিযোগ মোদী-শাহের বিরুদ্ধে। চিঠিতে অভিযোগ, ‘পুরো ঘটনার পিছনে রয়েছে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের হাত। তাঁদের নির্দেশেই কাজ করছেন রাজ্যপাল।’ বিধানসভা ভোটে জিততে ব্যর্থ হয়েই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশের কাছে তৃণমূলের দাবি, যেসব আধিকারিকেরা এই তিন তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই অভিযোগকে এফআইআর হিসেবে ধার্য করার কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন‘টাকা তো শুভেন্দুও নিয়েছিল!’ নারদ মামলার বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ নারদ কর্তা

অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সম্পূর্ণ অসাংবিধানিকভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিন বিধায়ককে। তৃণমূল দাবি করছে, বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি না নিয়েও গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিন বিধায়ককে। রাজ্যপাল যেদিন অনুমতি দিয়েছেন, সেদিনও স্পিকার ছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টকে ইতিমধ্যেই লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।