‘আমার বাচ্চার জন্ম শংসাপত্র পাইনি এখনও’, ফিরহাদ হাকিমের কাছে এল ফোন!

Talk to KMC: গত শনিবার 'টক টু কেএমসি'-তে আদি সপ্তগ্রামের বাসিন্দা শুভায়ু মল্লিক ফোন করেন।

'আমার বাচ্চার জন্ম শংসাপত্র পাইনি এখনও', ফিরহাদ হাকিমের কাছে এল ফোন!
ছবি ফেসবুক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 9:30 PM

কলকাতা: বাচ্চার জন্ম হয়েছে বছর ঘুরতে চলল। শহরের প্রথম সারির হাসপাতালে জন্ম, তবু জন্মের শংসাপত্র পেতে নাকানি চোবানি খেতে হচ্ছে পরিবারকে। ‘টক টু কেএমসি’তে এমনই অভিযোগ নিয়ে ফোন এল কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের কাছে। আরজি কর হাসপাতালে জন্ম। তবু সন্তানের জন্মের শংসাপত্র পেতে হন্যে হতে হচ্ছে মা-বাবাকে। এ নিয়ে সোমবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে কথা বললেন ফিরহাদ হাকিম।

গত শনিবার ‘টক টু কেএমসি’-তে আদি সপ্তগ্রামের বাসিন্দা শুভায়ু মল্লিক ফোন করেন। তিনি কলকাতার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে জানান, আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর তাঁর সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তারপর থেকে মাসের পর মাস তিনি হাসপাতালে ঘুরলেও জন্মের শংসাপত্র পাননি। এ নিয়ে তাঁকে নানা অসুবিধার মধ্যেও পড়তে হচ্ছে। সেদিনই মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন।

সেইমতো সোমবার ফিরহাদ হাকিম সরাসরি মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে কথা বলেন। সরকারি হাসপাতালগুলিতে জন্ম শংসাপত্র পেতে মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে, সেই শংসাপত্র পরবর্তীকালে নাম বদল বা নতুন নাম নথিবদ্ধকরণের ক্ষেত্রেও যে মানুষ সমস্যায় পড়ছেন সেই বিষয়টিও মুখ্য সচিবের কাছে তিনি তুলে ধরেন। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, যত শীঘ্র সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করবেন। তবে মুখ্য প্রশাসক শুধুমাত্র বক্তব্যের মধ্যে থেমে থাকছেন না। তিনি এ ব্যাপারে সরাসরি মুখ্যসচিবকে একটি চিঠিও লিখবেন বলে জানিয়েছেন।

গত শনিবার সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে আদি সপ্তগ্রামের বাসিন্দা শুভায়ু মল্লিক মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে বলেন, গত ডিসেম্বর মাসে তাঁর কন্যা সন্তান পৃথিবীতে এলেও, তিনি শিশুটির জন্ম শংসাপত্র এখনও পাননি। এমনকী এই শংসাপত্র পেতে গিয়ে তাঁকে যে মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেই বিষয়টিও তিনি জানান।

সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, জন্ম নথি সংক্রান্ত যে নথি হাসপাতাল থেকে কলকাতা পুরসভাতে দ্রুত চলে আসার কথা, তা আসতে কখনও কখনও এক বছর কিংবা ছ’মাস সময় লেগে যাচ্ছে। ফলে কোনও সরকারি হাসপাতালে কোন শিশু জন্ম নিলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা অনুযায়ী সেখান থেকে জন্ম শংসাপত্র দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সদ্য জন্ম হওয়া শিশুর নামকরণ না হওয়ায় নামের জায়গায় ‘Unknown’ লিখে দেওয়া হচ্ছে।

পরে যখন শিশুটির পরিবার নাম নথিভুক্ত করতে যাচ্ছে, তখন হাসপাতাল থেকে সেই শিশুটির পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল ঘোরাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। পরিবারের লোকজন পুরসভার বার্থ অ্যান্ড ডেথ সেকশন থেকে বলে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল থেকে কোনওরকম নথি আসেনি। অর্থাৎ হাসপাতাল থেকে তথ্য না আসায় কলকাতা পুরসভার কাছে সেই সদ্য জন্ম হওয়া শিশুর যাবতীয় তথ্য অজানা থেকে যাচ্ছে।

সমস্যা যে গুরুতর না অনুধাবন করে মুখ্য প্রশাসক কলকাতা পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে গোটা প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার নির্দেশ দেন। হাসপাতালগুলিতে থাকে মূল রেজিস্টার। কলকাতা পুরসভায় আসে সাব রেজিস্টার। তাই কলকাতা পুরসভায় যাতে মূল রেজিস্টারটি দ্রুত চলে আসে এবং সেখানে যাতে নাম বদল, নতুন নাম তোলার কাজ দ্রুত হয় সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়। আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ! যাওয়ার আগে দেখে নিন ছুটির লম্বা তালিকা