CISF jawan: ‘ডিপার্টমেন্টের লোকজন জ্বালাতন করত তাই এই কাজ করেছি’, লকআপে যাওয়ার আগে বলে গেলেন জওয়ান

Kolkata: ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের পিছনের দিকে গুলি চালান এক সিআইএসএফ জওয়ান। সেখানেও সেই একই তথ্য।

CISF jawan: 'ডিপার্টমেন্টের লোকজন জ্বালাতন করত তাই এই কাজ করেছি', লকআপে যাওয়ার আগে বলে গেলেন জওয়ান
অভিযুক্ত অক্ষয় মিশ্র (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2022 | 9:41 AM

কলকাতা: কয়েকদিন আগের ঘটনা। কলকাতার পার্ক সার্কাস চত্বরে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে গুলি চালিয়েছিলেন এক পুলিশকর্মী। পরবর্তীতে নিজেও আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনি। উঠে এসেছিল মানসিক বিপর্যস্ততার জেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। এরপর শনিবারের ঘটনা। ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের পিছনের দিকে গুলি চালান এক সিআইএসএফ জওয়ান। সেখানেও সেই একই তথ্য। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে তাই বলে গুলি? প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।

শনিবার পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর অভিযুক্ত জওয়ান অক্ষয় মিশ্র জানান, ‘ডিপার্টমেন্টের লোক জ্বালাতন করত, তাই এই কাজ করেছি।’ এই ঘটনায় তাঁর যে কোনও অনুশোচনা নেই তাও এক প্রকার জানিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, গত বুধবার এ কে মিশ্রের বাবা মারা যাওয়ায় তিনি ছুটির আবেদন করেছিলেন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, তা নিয়েই মূল ঝামেলার সূত্রপাত। সূত্রের খবর, শুধু ছুটি নয়।বিগত দু’মাস ধরে অভিযুক্তের সঙ্গে সহকর্মীরা সবাই ঠাট্টা ইয়ার্কি করত বলেও খবর। সেটা নিয়েও তার মনে রাগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সবকিছু নিয়েই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে সূত্রের আরও খবর, গতকাল রাতে ঝগড়ার পর আজ সকাল থেকে চুপচাপ ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবল।

তাই এই ঠাট্টা, ইয়ার্কির পরিণাম যে এমন ভয়ঙ্কর হতে পারে তা কিন্তু এক কথায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এ কে মিশ্রর এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন অভিযুক্তের রাইফেল ব্যারাকেই ছিল। সহ কর্মীর A K 47 রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালান অক্ষয়। যে গুলির দাগ ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক দল উদ্ধার করেছে। ১৫ রাউন্ড গুলির মধ্যে মেলে ১৪টি গুলির চিহ্ন। যাদের মধ্যে ১৩টি ঘটনাস্থলে এবং ১টি গাড়িতে। এমটাই খবর।

তবে বিস্ফোরক তথ্য হল অভিযুক্তের টার্গেটে ছিলেন এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গী। বরং তাঁর লক্ষে ছিলেন ইনস্পেক্টর সমাদ্দার, সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। ভারতীয় মিউজিয়ামের বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, শনিবারের ঘটনাটি যখন সামনে আসে তখন জানা যায় অক্ষয় মিশ্র এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছিলেন। আর সেই গুলি গিয়ে লেগেছে ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের। পরবর্তীতে যদিও জানতে পারা যায়, তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। গুলি লেগেছে এএসআই-এর।

জানা যায়, গুলি চলতেই সমাদ্দার দৌড়ে পালিয়ে যান। এরপর জাদুঘরের ভিতরে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। এরপরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত অক্ষয় মিশ্রের রাগ ছিল ইনস্পেক্টর সমাদ্দারের উপরই। কারণ ছুটি পাওয়া নিয়ে যে গণ্ডগোল হচ্ছিল তাও অক্ষয়ের সঙ্গে ইনস্পেক্টরের চলছিল। ফলত, তাঁকেই টার্গেট করে গুলি করার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত জওয়ান। কিন্তু লক্ষ্য়ভ্রষ্ট হন। তবুও হাল ছেড়ে দেননি। ইনস্পেক্টর সমাদ্দার পালিয়ে যেতেই এলোপাথাড়ি গুড়ি চালাতে থাকেন অক্ষয়। এমনটাই অভিযোগ। ফলত প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি ছুটি নাকি সহকর্মীদের উপর রাগ থেকেই এই গুলি?