BJP-TMC: বিবেকানন্দকে অপমানের অভিযোগ সুকান্তর বিরুদ্ধে, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তৃণমূলের

TMC: কুণাল বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত উক্তির সঙ্গে গীতা-ফুটবল মিশিয়ে সুকান্ত মজুমদার আসলে বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন। কুণালের কথায়, "উনি বলছেন, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী!" এরপরই ব্রাত্য বসু বলেন, "নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী বাংলার প্রথম কৃতী ফুটবলার। তাঁকে দেখে বিবেকানন্দ এই উক্তিটি করেছিলেন। আর বিবেকানন্দ একেবারেই কোনও 'বামপন্থী প্রোডাক্ট' নন। যুবশক্তির প্রকাশ তিনি। তিনি একজন আধুনিক ধর্মপ্রচারক।"

BJP-TMC: বিবেকানন্দকে অপমানের অভিযোগ সুকান্তর বিরুদ্ধে, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তৃণমূলের
কুণাল ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2023 | 9:53 PM

কলকাতা: ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ হল রবিবারের ব্রিগেডে। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে সরব তৃণমূল। শাসকদলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, সুকান্ত স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কুণাল ঘোষ বলেন, “গীতার মতো পবিত্র গ্রন্থকে তৃণমূল কংগ্রেস সম্মান করে। কিন্তু গীতা নিয়ে যে রাজনীতির চেষ্টা হয়েছে, বিজেপি কুৎসিতভাবে তা করেছে। এই রাজনীতির আমরা বিরোধিতা করি। সেই রাজনীতি আমরা সমর্থন করি না। গীতা আলাদা বিষয়। কিন্তু ব্রিগেড আজ একটা ফ্লপ কর্মসূচি দেখেছে। ফাঁকা মাঠ। আর তাতেই দিশাহারা হয়ে বিজেপি নেতারা পবিত্র গীতাপাঠের আসরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন।” যদিও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুকান্তও।

রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা ও কুণাল ঘোষ। শুরুতেই কুণাল ঘোষ একটি অডিয়ো চালান তাঁর মোবাইল ফোনে। সেই অডিয়োর কণ্ঠ সুকান্ত মজুমদারের বলেই দাবি করেন কুণাল। সেই অডিয়োয় বলতে শোনা গিয়েছে, “বাংলা বহু যুগ ধরে এই সনাতন সংস্কৃতির ধারক বাহক। ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল। মাঝে বাংলা কিছুটা পথভ্রষ্ট হয়েছিল বামপন্থীদের দ্বারা। এখন দেখতে পাচ্ছেন না অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী? গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভাল যাঁরা বলছেন, তাঁরা ওই বামপন্থী প্রোডাক্ট আর কী। এখন বাংলা সঠিক পথে যাবে। আজকে থেকে শুরু হচ্ছে সঠিক পথে যাওয়া।”

এরপরই কুণাল বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের বিখ্যাত উক্তির সঙ্গে গীতা-ফুটবল মিশিয়ে সুকান্ত মজুমদার আসলে বিবেকানন্দকে অপমান করেছেন। কুণালের কথায়, “উনি বলছেন, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী!” এরপরই ব্রাত্য বসু বলেন, “নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী বাংলার প্রথম কৃতী ফুটবলার। তাঁকে দেখে বিবেকানন্দ এই উক্তিটি করেছিলেন। আর বিবেকানন্দ একেবারেই কোনও ‘বামপন্থী প্রোডাক্ট’ নন। যুবশক্তির প্রকাশ তিনি। তিনি একজন আধুনিক ধর্মপ্রচারক।”

সুকান্ত মজুমদারকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে এদিন দাবি করে তৃণমূল। সুকান্তের বক্তব্যকে ধিক্কার জানান তাঁরা। শশী পাঁজা বলেন, “নিজেকে ডক্টরেট বলেন সুকান্ত মজুমদার, তবে কোথাও মনে হচ্ছে খামতি আছে। আপনাকে ক্ষমা চাইতে হবে।”

সুকান্তের মন্তব্যের সমালোচনা করে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করে তৃণমূল। আর সেই পোস্টের জবাব দিয়ে এদিন সন্ধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘টেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কেলেঙ্কারি চাপতেই কি তৃণমূলের দাগি জেল খাটা আসামিরা টুকরো খবর ছড়িয়ে মিথ্যাচার করতে বাধ্য হলেন…?? আপনাদের সুস্থতা কামনা করি…।’