TMC on Budget Session: ‘রাজ্যপাল ভদ্র, রুচিসম্পন্ন, বাস্তববাদী, শিক্ষিত, সচেতন’, বিজেপির ব্যবহারের তীব্র নিন্দা শাসক শিবিরের

TMC on Budget Session: 'রাজ্যপাল গদি ছাড়ো' বলে স্লোগান দিয়েছে বিজেপি। এভাবে রাজ্যপালকে অপমান করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম।

TMC on Budget Session: 'রাজ্যপাল ভদ্র, রুচিসম্পন্ন, বাস্তববাদী, শিক্ষিত, সচেতন', বিজেপির ব্যবহারের তীব্র নিন্দা শাসক শিবিরের
বিজেপির বিরোধিতায় শাসক শিবির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2023 | 4:28 PM

কলকাতা : ‘সংসদীয় রাজনীতিতে এমনটা কখনও হয়নি। যে নোংরামি হল, তা বাংলার ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।’ বুধবার বাজেট অধিবেশনের শুরুতে রাজ্য বিধানসভায় যে ছবি দেখা গিয়েছে, সেই প্রসঙ্গে এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। শুধু ফিরহাদ নন, তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক এদিন রাজ্যপালকে অবমাননা করা হয়েছে বলে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি সি ভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Ananda Bose) ভদ্র, রুচিসম্পন্ন, বাস্তববাদী রাজ্যপাল বলে উল্লেখ করেছেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। রীতি মনে এদিন বাজেট অধিবেশনের সূচনা হয় রাজ্যপালের ভাষণে। সেই ভাষণে কেন রাজ্য সরকারের প্রশস্তি শোনা গেল, তা নিয়েই আপত্তি জানিয়েছেন বিজেপি বিধায়কেরা। রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে রীতিমতো ‘শেম শেম’ স্লোগান তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে।

এদিন বিধানসভার হট্টগোলের পর বেরিয়ে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, ‘বহুদিন বাদে অত্যন্ত ভদ্র, রুচিসম্পন্ন, বাস্তববাদী, শিক্ষিত, সচেতন রাজ্যপাল পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।’ বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ওরা ভুলে গিয়েছে, রাজ্যপাল হিসেবে যিনি এসেছেন, তাঁকে কেন্দ্রই সুপারিশ করে পাঠিয়েছে।’ তাঁর কথায়, রাজ্যপাল ভাষণে সরকারি যে সব পরিষেবার কথা বলেছেন, সেই পরিষেবা বিরোধীরাও পাচ্ছে। তবে বিরোধীদের ‘মেন্টাল হসপিটালে’র দরকার হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

এভাবে রাজ্যপালকে অপমান করা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘যাঁরা সংবিধান জানেন না, তাঁরাই নেতা হয়ে এসেছেন। সাংবিধানিক পদে থাকা কাউকে এভাবে অপমান করা যায় না। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এভাবে বলা পাপ। সংসদীয় রাজনীতিতে কখনও এটা হয়নি।’

মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘বিধানসভা গণতন্ত্রের পবিত্র জায়গা। সেখানে জন প্রতিনিধিদের মানুষের কথা তুলে ধরা উচিত। সরকারের ভুল থাকলে সেটা যুক্তি দিয়ে তুলে ধরাই কাজ বিরোধীদের। কিন্তু এই বিরোধীরা বিধানসভার কাজ করেন না। স্কুলের খারাপ ছেলেরা যেমন স্কুল পালিয়ে গাছতলায় বসে থাকে, এরাও সেভাবেই সিঁড়িতে বসে থাকে।’ এই কাজ পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি বিরোধী, এতে বিধানসভার গরিমা নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিরোধী দলের বিধায়কদের দাবি, তাঁরা রাজ্যপালকে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন না, রাজ্যপালের প্রতি তাঁদের সম্মান অটুট। রাজ্য সরকারের লিখে দেওয়া ভাষণ সংশোধন করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।