‘আমি কোন দলে পড়ি?’, মদের দোকানে লাইন নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মদন

‘আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কী?'

'আমি কোন দলে পড়ি?', মদের দোকানে লাইন নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মদন
ছবি - ফেসবুক
Follow Us:
| Updated on: May 16, 2021 | 7:22 PM

কলকাতা: শনিবার দুপুর। আগামী ১৫ দিনের জন্য রাজ্য সরকার কার্যত লকডাউন ঘোষণার পর পড়িমরি করে মানুষ ছুটেছেন মদের দোকানে (Liquor Shop)। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, মেদিনীপুর থেকে মুর্শিদাবাদ, সর্বত্রই একই ছবি। আর এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ মদন মিত্র (Madan Mitra)। ফেসবুক লাইভ থেকে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) মন্তব্য, ‘আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কী?’

এখানেই থামেননি মদন। মদের কালোবাজারি নিয়েও ফুঁসে উঠলেন তিনি। ‘মদ’ শব্দের উচ্চারণ না করলেও ‘দিশি’ ও ‘বিদেশি’ বলে শনিবার ফেসবুক লাইভ থেকে তাঁর বার্তা, ‘মানুষের খুব পছন্দের জিনিস, যার জন্য লাইন দিচ্ছে। তবে রাস্তা দিয়ে যেতে চোখে পড়ল কালোবাজারি।’ মদনের কথায়, ব্রিটিশের সময় দেশের মানুষ বিদেশি জিনিস বর্জন করেছিল। আর এখন অনেকে বিদেশি জিনিস বর্জন করে দিশি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু একশো টাকার দিশি মদ এক-দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন মন্ত্রীর।

অবশ্য মদের দোকানে সুরাপ্রেমীদের এই লম্বা লাইন দেওয়ার বিষয়টিকে একেবারে মানতে পারছেন না মদন মিত্র। বলেন, “একদিকে দোকানে লাইন পড়েছে। আর অন্যদিকে লাইন সেফ হোমে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাকে নিজেকে দেখে সন্দেহ হয় যে, আমি কোন দলে পড়ি। এটা ঠিক আমি মেনে নিতে পারছি না। যে লাইন দেখে এলাম, সত্যি ভাবছি মানুষ আর কুকুরের মধ্যে পার্থক্য কী?”

আরও পড়ুন: ‘রাতে একটু না খেলে ঘুম হয় না,’ লকডাউন ঘোষণা হতেই মদের দোকানে লম্বা লাইন

এই প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলিও কালোবাজারি করছে বলে তোপ দাগেন কামারহাটির বিধায়ক। বলেন, “নার্সিংহোমগুলো এখন যা ব্যবসা করছে গত একশো বছরেও এত ব্যবসা করেছে বলে আমার জানা নেই। কালোবাজারি হচ্ছে মানুষকে বাঁচানোর অক্সিজেন নিয়েও। রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখার নাম করেও লক্ষ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে। রোগীর পরিজন দেখতে এলে ভেন্টিলেটরে রাখছে, চলে গেলে ওই রোগীকেই জেনারেল বেডে রাখা হচ্ছে। এমনকি রোগীর ব্রেন ডেথের পরেও তা করা হচ্ছে!”