স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের

মঙ্গলবারই নবান্ন (Nabanna) থেকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বহু বিধিনিষেধ।

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে ওঠার অনুমতি চেয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনের
নতুন মাস শুরু হচ্ছে বুধবার থেকেই। পেনশন তুলতে বা কিস্তি জমা করতে ব্যাঙ্কে যেতে হবে আর ক’দিনের মধ্যেই। তবে সেপ্টেম্বর মাসেও কিন্তু অর্ধেক দিনই বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক। তাই কোন কোন দিন ব্য়াঙ্কে গেলে হয়রানির শিকার হতে হবে না, জেনে নিন এখনই। 
Follow Us:
| Updated on: May 16, 2021 | 7:52 PM

কলকাতা: রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি স্টাফ স্পেশাল ট্রেনগুলিতে (Staff Special Train) স্বাস্থ্যকর্মীদের ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল। এবার সেই একই দাবিতে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিল ইউনাইটেড ফোরাম অব ব্যাঙ্ক ইউনিয়নস। ব্যাঙ্ক কর্মীদের এই সংগঠনের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, রেলকর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি ব্যাঙ্ককর্মীরাও যেন বিশেষ ট্রেনগুলিতে ওঠার অনুমতি পায়, সেদিকটা নিশ্চিত করুক রাজ্য।

বেলাগাম রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি। এই মুহূর্তে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে বাংলায়। আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। শনিবারই নবান্ন থেকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে বহু বিধিনিষেধ। আপাতত বাস, ট্রাম, ট্রেন —গণপরিবহণের সমস্ত যানই বন্ধ থাকছে। জরুরি পরিষেবাতে চলবে ট্যাক্সি। সরকারি-বেসরকারি সমস্ত দফতর বন্ধ রাখা হয়েছে আগামী ১৫ দিনের জন্য। ব্যাঙ্ক খোলা থাকলেও তা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: ৩৬ ঘণ্টায় ১২ লক্ষের বিল! করোনায় মৃতের পরিবারের কপালে হাত

এই নির্দেশিকা জারি হতেই সমস্যায় পড়েছেন ব্যাঙ্ক কর্মীরা। গণপরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্তব্ধ থাকলে, ব্যাঙ্ক কর্মীরা কী ভাবে যাতায়াত করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরপরই রবিবার নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, রাজ্যের তরফে রেলের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করা হোক। রেল যে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে, তাতে ব্যাঙ্ক কর্মীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক।

সপ্তাহ দু’য়েক আগেই রাজ্য সরকার জানিয়ে দেয়, আপাতত বাংলায় সমস্ত ধরনের যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না জারি হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশই বলবৎ থাকবে। এই নির্দেশিকা জারির পর থেকেই সমস্যায় পড়েন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তবু ট্রেনে যাতায়াতের অনুমতি না পাওয়ায় কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে সমস্যা হচ্ছিল। এরপরই রাজ্যের তরফে রেলের কাছে আবেদন জানানো হয়, রেলের কর্মীদের জন্য যে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলছে তাতে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক।

১৩ মে সে সংক্রান্ত অনুমতি মেলে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু শর্তও দেয় রেল। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এর জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। সেই নোডাল অফিসারের কাজ হবে বিশেষ ধরনের পাস ইস্যু করা। লোকাল ট্রেনে যাতায়াতের সময় ওই পাস ব্যবহার করতে হবে যাত্রীকে। একইসঙ্গে ট্রেনে যাতায়াতের জন্য টিকিট কাটতে হবে। বিভিন্ন স্টেশনে কাউন্টার খোলা রয়েছে। সেখান থেকে টিকিট কাটতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। ব্যাঙ্ক কর্মীরাও চান স্বাস্থ্যকর্মীদের মত রেল যেন তাঁদেরও ছাড় দেয়।