Abhishek Banerjee: ‘আইন এনে খুনি-ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত’, বললেন অভিষেক

Abhishek Banerjee: অভিষেক বলেন, "আমি মনে করি আইনসভায় এমন কঠোর আইন আনা দরকার, যেখানে সাত দিনের মধ্যে খুনি ধর্ষকদের একদম এনকাউন্টার করে মারা উচিত। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি। কেন বছরের পর বছর ট্রায়াল চালাবেন মশাই? এক বছরে ৭৩ হাজার টাকা খরচ। পাঁচ বছর জেলে রাখলে সাড়ে ৩ লাখ খরচ। কেন?"

Abhishek Banerjee: 'আইন এনে খুনি-ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত', বললেন অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2024 | 9:01 PM

কলকাতা: ‘ধর্ষকের কোনও আলাদা পরিচয় হয় না, সে ধর্ষকই’, মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অভিষেকের কথায়, যে ঘটনা ঘটেছে তা মর্মান্তিক, নারকীয়। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের অবস্থান জানিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত গ্রেফতারও হয়েছে। তবে এই ধরনের ঘটনায় আইন করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, “আমি মনে করি আইনসভায় এমন কঠোর আইন আনা দরকার, যেখানে সাত দিনের মধ্যে খুনি ধর্ষকদের একদম এনকাউন্টার করে মারা উচিত। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলছি। কেন বছরের পর বছর ট্রায়াল চালাবেন মশাই? এক বছরে ৭৩ হাজার টাকা খরচ। পাঁচ বছর জেলে রাখলে সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ। কেন?”

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের আইন হাত বেঁধে রেখেছে। এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। কিন্তু দেশের আইন এমন চাইলেও আমরা কিছু করতে পারি না।”

ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ট্রায়ালপর্ব থেকে দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং সাজা ঘোষণা সময়সাপেক্ষ। অভিষেকের কথায়, “যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে ডাক্তার, পুলিশ, ইঞ্জিনিয়ার, খেলোয়াড়, কৃষক নাকি শ্রমিক, ধর্ষকের তো কোনও জাত হয় না। খুনির তো আলাদা পরিচয় নেই। ধর্ষকের তো কোনও জাত হয় না। সে ধর্ষকই। সে আগে ধর্ষক, সে আগে খুনি। তার সমাজে থাকার কোনও অধিকার নেই। দ্রুত ট্রায়াল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

অভিষেক বলেন, প্রতিটা ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার কারণ কী? তাঁর কথায়, একাধিক রাজনৈতিক দল পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “আইনসভায় সংশোধন করে হয় অর্ডিন্য়ান্স আনুক। ৬ মাস পর অ্যামেন্ডমেন্ট করে বিল আনুন। যাতে অন্তত ১ মাসের মধ্যে ব্যবস্থা হয়। অর্ডিন্য়ান্স করে ইডির ডিরেক্টরের মেয়াদ বাড়াতে পারে, একজন ধর্ষক বা খুনির যাতে সাতদিনে বিচার হয়, এই অধ্যাদেশ আনতে পারে না কেন? চাইলে তো আনা যায়।”

অভিষেকের কথায়, উত্তর প্রদেশে হোক, মহারাষ্ট্রে হোক, কর্নাটকে হোক বা বাংলায় হোক, সমাজের পক্ষে এ ধরনের ঘটনা লজ্জার, দুর্ভাগ্যের, নারকীয়। কেন এত সময় লাগবে ট্রায়াল হতে? অভিষেকের বক্তব্য, “এটা উত্তর প্রদেশে হলে মৃতদেহও পাওয়া যেত না। হাথরসের কথা মনে আছে। আইনসভায় আইন আনতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। তারপরই সব হবে।”