Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কংগ্রেসকে নিয়েই জোট! তবে ‘হঠাৎ ফোনে বলে দিলাম, চলে আসুন… এটা চলবে না’, সাফ বার্তা তৃণমূলের

TMC-Congress: গত কয়েকদিনে রাজধানীতে বিরোধীদের বিক্ষোভে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। পরে আলাদাভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তৃণমূল সাংসদরা।

কংগ্রেসকে নিয়েই জোট! তবে 'হঠাৎ ফোনে বলে দিলাম, চলে আসুন... এটা চলবে না', সাফ বার্তা তৃণমূলের
ছবি-টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 14, 2021 | 11:21 AM

কলকাতা: বিরোধী জোটের লক্ষ্যে কিছুদিন আগেই দিল্লি ঘুরে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেছেন তিনি। কিন্তু মমতা দিল্লি থেকে ফেরার পর জোটের ছবিতে কিছুটা বদলের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। দিল্লিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে কেন সামিল হতে দেখা গেল না তৃণমূলকে, সেই প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহলে। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সক্রিয় হচ্ছেন বলেই কি দূরে সরে যাচ্ছে তৃণমূল, উঠছিল এমন প্রশ্নও। কিন্তু এবার তৃণমূলের তরফে সাফ জানানো হল যে কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কোনও জোটের কথা ভাবা হচ্ছে না। আজ, শনিবার তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

মুখপত্রে দাবি করা হয়েছে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে কখনও জোটের কথা বলছে না তৃণমূল। বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘বরং কোনও তৃতীয় বিকল্প নয়, বিরোধী জোটই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।’  তবে সেই জোট বা কেন্দ্রের সরকার বিরোধী কার্যকলাপ যাতে নির্দিষ্ট নীতি মেনে হয়, তেমনটাই বলছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ‘আজ হঠাৎ মনে হল, একটা ফোনে বলে দিলাম আমরা মিছিল করছি, চলে আসুন, এটা তৃণমূলের ক্ষেত্রে চলবে না।’ তৃণমূল যে কোনও জোট ছাড়াই বিজেপিকে হারিয়ে নিজেদের ক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কংগ্রেস যদি লোকসভা নির্বাচনে উপযুক্ত বিকল্প হিসেবে লড়াই দিতে পারত তাহলে বিজেপি এত আসন পেত না।’ তৃণমূলের দাবি, জোটের বিষয়টাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অতীতে যে ভাবে হয়েছে, তার থেকে সময় বদলেছে। পুরনো ভাবনা চিন্তার মডেল থেকে বেরিয়ে বাস্তবসম্মত বিরোধী জোট তৈরি করতে হবে।’ তাঁর দাবি, অতীতে যে মডেল ব্যর্থ হয়েছে, তার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কুণাল ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল জানে কী ভাবে শীর্ষ নেতৃত্বকে পরাজিত করতে হয়।’ তাই যে জল্পনা চলছে তাতে তৃণমূল গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি। কুণালের দাবি, ‘নেত্রী সৌজন্য দেখিয়েছেন বলেও সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেছেন। সংসদের ভিতরে বাইরে সাংসদরা একসঙ্গে কাজ করেছেন।’

উল্লেখ্য, দু’দিন আগে সংসদ চত্বরের বাইরে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কংগ্রেস সহ সব বিরোধী দল। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভে নামে বিরোধীরা। শিব সেনা, আম আদমি পার্টি থেকে ডিএমকে, সব বিরোধী দল সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলেও দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও সংসদ তথা নেতাকে। দিল্লিতে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কেন রাহুলের এই বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিল না তৃণমূল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজনৈতিক মহলে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কেন অধিবেশন বন্ধ করে দেওয়া হল তা নিয়েই সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, এর আগে যন্তর মন্তরে কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেম বিরোধীরা। সেখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। পরে আলাদাভাবে তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলেন। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল আলাদা করে নিজেদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চাইছে কি না সেই জল্পনা তৈরি হয়। আর আজ জাগো বাংলায় সেই জল্পনারই জবাব দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আরও পড়ুন: ‘হিন্দি সিরিয়ালের দয়ার ভূমিকায় ননসেন্স পুলিশ’, মুচিপাড়ায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষের গ্রেফতারিতে কটাক্ষ দিলীপের