Tripura Police against Kunal Ghosh: ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ, ফের কুণালকে সমন আদালতের
Tripura Police against Kunal Ghosh: ত্রিপুরায় একাধিক মামলা হয়েছে কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে। হাজিরা দিতেও গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ।
ত্রিপুরা : সীতার পাতালপ্রবেশ সম্পর্কিত একটি মন্তব্য করেছিলেন কুণাল ঘোষ। আর তাতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলায় এবার চার্জশিট পেশ করল ত্রিপুরা পুলিশ। গত বছর দলীয় প্রচারের কাজে একাধিকবার ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। তারই মধ্যে ছিল সীতাকে নিয়ে করা এই মন্তব্য নিয়ে মামলা। ওই মামলায় কুণালকে ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। এবার অমরাবতী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কুণালের নামে সমন জারি করল।
সীতার পাতালপ্রবেশের কথা তুলে সীতার মানসিক যন্ত্রণার কথা বলতে চেয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য ছিল, জয় সীতারাম বা সিয়ারাম থেকে বিকৃত করে বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সীতাকে বাদ দিয়ে শ্রীরাম করা হয়েছে। ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, রামরাজ্যে অপমানিত হয়ে সীতাকে প্রথম অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বনবাসে যেতে হয়েছিল। এরপর পাতালপ্রবেশের মধ্যে দিয়ে কার্যত আত্মহনন করেছিলেন তিনি।
কুণালের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরা পুলিশ ধর্মে আঘাত করার অভিযোগে মামলা করেছিল। সেই মামলায় ২০২১ সালেই কুণাল ঘোষ শরীরের গিয়ে থানায় জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেই সময় নিজের বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি দিতে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন রামায়ণের বিভিন্ন সংস্করণ ও গবেষণাগ্রন্থ। তিনি বলেছিলেন, তিনি নিজে হিন্দু। কোনও ধর্মকে আঘাতের কোনও উদ্দেশ্যই তাঁর ছিল না। যাঁরা রামের নাম নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁদের জন্য সীতার পরিণতির প্রশ্নটাই তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বলে দাবি কুণালের।
২০২১ সালের ১২ নভেম্বর ত্রিপুরার বাগমা ফাঁড়িতে পুলিশের মুখোমুখি হয়েছিলেন কুণাল। আর তার ছ মাস পর এই সংক্রান্ত মামলাতেই এখন চার্জশিট দিল ত্রিপুরা পুলিশ। আদালত কুণালকে আগামী ৩০ মে সকালে এজলাসে উপস্থিত থাকার জন্য সমন পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার এক পথসভায় তৃণমূল নেতা ওই মন্তব্য করেছিলেন। প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাম রাজ্যে কেন সীতা পাতালপ্রবেশ করেছিলেন? এরপর তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সে রাজ্যের পুলিশ। পরে বাল্মীকির রামায়ণ, নবনীতা দেবসেন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ির লেখা রামায়ণ সম্পর্কিত বই এবং অক্সফোর্ডে প্রকাশিত রামায়ণ সম্পর্কিত গবেষণাপত্র নিয়ে ত্রিপুরায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি দাবি জানিয়েছিলেন, হয় রাজনীতিতে ধর্ম ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, নাহলে পুলিশ বলে দিক রামায়ণের কোন অংশ ব্যবহার করা যাবে, আর কোনটা যাবে না।