MNREGA: পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছিলেন? তৃণমূলের সব খোঁচার জবাব দিলেন সাধ্বী

Sadhvi Niranjan Jyoti: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলেও খোঁচা দিতে শুরু করেছেন অভিষেকরা। এবার সেই আক্রমণের জবাব দিলেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার দুপুরে বিজেপির সল্টলেকের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখান থেকেই এবার পিছনের দরজা দিয়ে পালানো খোঁচার জবাব দিলেন মন্ত্রী।

MNREGA: পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছিলেন? তৃণমূলের সব খোঁচার জবাব দিলেন সাধ্বী
সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2023 | 2:38 PM

কলকাতা: কৃষিভবনে বান্ডিল বান্ডিল চিঠি নিয়ে গেলেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির দেখা পাননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়রা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কৃষিভবনে থাকলেও শেষ পর্যন্ত সাক্ষাৎ হয়ে ওঠেনি। তা নিয়েই ইতিমধ্যেই আগ্রাসী মেজাজে বিজেপিকে নিশানা করছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলেও খোঁচা দিতে শুরু করেছেন অভিষেকরা। এবার সেই আক্রমণের জবাব দিলেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। শনিবার দুপুরে বিজেপির সল্টলেকের অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেখান থেকেই এবার পিছনের দরজা দিয়ে পালানো খোঁচার জবাব দিলেন মন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেন, “ওরা বলছে, আমি নাকি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়েছি। আমি সবসময় চার নম্বর গেটের সামনে দিয়েই যাতায়াত করি। ওখানেই আমার অফিস।” মন্ত্রীর বক্তব্য, তৃণমূলের প্রতিনিধদলই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তাই নিজের অনেক কাজের ব্যস্ততার মধ্য়েও সেদিন কৃষিভবনে গিয়েছিলেন তিনি। বললেন, “কাজ ছেড়ে গিয়েছিলাম দেখা করতে…”

কিন্তু তৃণমূলের তরফেই কারা দেখা করতে আসবে, কতজন আসবে সেই নিয়ে একাধিকবার একাধিক বক্তব্য মন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়েছিল বলে দাবি সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। মন্ত্রীর বক্তব্য, তৃণমূল প্রথমে বলেছিল পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল আসবে। তারপর বলেছিল, দশ জন আসবে। এমনকী সব সাংসদদেরও নিয়ে আসতে চেয়েছিল তৃণমূল। সেই মতো সব সাংসদের আসার জন্য কৃষিভবনে নিজের অফিসে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সেরে নেওয়ার জন্য অফিসের কর্মীদের বলেছিলেন সাধ্বী নিরঞ্জন। তবে শেষে মন্ত্রীকে জানানো হয়, আগে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে হবে।

সেই সময় মন্ত্রী বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করায় তাঁর কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু আগে তৃণমূলের কার্যকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি দেখা করতে চান। কারণ, একশো দিনের কাজ ও জব কার্ড নিয়ে যে অভিযোগ উঠে এসেছে বাংলায়, তাতে রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করা আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল তাতে রাজি ছিল না বলেই দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।

সাধ্বী নিরঞ্জন বললেন, “আমি আড়াই ঘণ্টা অফিসে বসে ছিলাম। যদি আমি দেখাই না করতাম, তাহলে নিজের কাজ ছেড়ে দিল্লিতে কেন যেতাম? আপনাদের জন্য অপেক্ষা কেন করতাম? আমার কোনও খামতি থাকলে আমি অপেক্ষা করতাম না।”