HS Admission: একাদশে ভর্তির জন্য বেড়েছে আসন সংখ্যা, বিজ্ঞানে পড়তে চাইলেও বড় সুযোগ… মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত সংসদের
Admission: সংসদ এবার বিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম ভর্তির মাপকাঠি ঠিক করেছে ৩৫ শতাংশ নম্বর। এত কম নম্বরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার অনুমতি দিলে সমস্যা হবে না তো? এই প্রশ্নও উঠেছে।
কলকাতা: সদ্য মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। ৮৬.৬ শতাংশ পাশ করেছে পরীক্ষায়। পরীক্ষা দিয়ে সর্বকালীন সেরা পাসের হার এবারের মাধ্যমিকে। কিন্তু এত পড়ুয়া ভর্তি হবে কোথায়? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলে আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। আগে নিয়ম ছিল একটি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ ২৭৫ জন ভর্তি হতে পারবে। এখন তা বাড়িয়ে ৪০০ করা হয়েছে। কিন্তু এই ৪০০ জনকে পড়ানোর মতো পরিকাঠামো কি স্কুলের আছে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতি বলেন, “উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে সর্বোচ্চ ২৭৫-এর জায়গায় ৪০০ জন ছাত্র ছাত্রী স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে এই মুহূর্তে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, কোথাও ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। কোথাও প্যারা টিচার, কোথাও আবার অবসর নেওয়া শিক্ষক দিয়ে কোনওক্রমে জোড়াতালি দিয়ে পড়াশোনা চলছে। সেখানে এমন সিদ্ধান্ত। অবিলম্বে শিক্ষা দফতর শিক্ষক নিয়োগ করুক। না হলে কেবলমাত্র প্রায় ওপেন স্কুলিং সিস্টেমের মতো করে স্কুল চালালে শিক্ষার মান প্রশ্নের মুখে পড়বে।”
তবে, সংসদের ব্যাখ্যা গতবার অনেক স্কুলের আবেদনে ভর্তির সংখ্যা বাড়াতে হয়েছিল। তাই এবার এই নির্দেশিকাই জারি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “আমাদের এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ ছিল। তার মধ্যে ৮৬ শতাংশ পাশ করেছে। যারা পাশ করেছে তার মধ্যে আমরা যদি ধরে নিই বেশির ভাগই পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাবে, অন্তত আমরা তো সেটাই চাই। সেক্ষেত্রে আসনের ঊর্ধ্বসীমা ২৭৫ রাখলে মুশকিল। গতবারও ২৭৫ ছিল সংখ্যাটা। পরে অনুরোধ আসে বাড়ানোর জন্য। কোথাও বলা হয় ৪০০’র কথা, কোথাও ৫০০। এবার আমরা একেবারেই সকলের জন্যই সেটা করে দিয়েছি। বেশির ভাগ পড়ুয়াকেই উচ্চশিক্ষায় সুযোগ দিতে রাজ্য সরকার। সেটা সরকারি নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই। মাধ্যমিকের পর যেন কেউ পড়া না ছেড়ে দেয়, এটাই আমাদের একমাত্র কাম্য।”
সংসদ এবার বিজ্ঞান বিষয়ে ন্যূনতম ভর্তির মাপকাঠি ঠিক করেছে ৩৫ শতাংশ নম্বর। এত কম নম্বরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার অনুমতি দিলে সমস্যা হবে না তো? এই প্রশ্নও উঠেছে। এর পাল্টা সংসদের ব্যাখ্যা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার লোক কমে যাচ্ছে। তাই এই নির্দেশিকা। সংসদ সভাপতি বলেন, “বিজ্ঞানে পড়াশোনা নিয়ে আরও উৎসাহ দিতে চাই। গত পাঁচ ছ’ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞানে পড়ার প্রবণতা কমছে। যদি ৮ লক্ষ পড়ুয়া থাকে যারা উচ্চ মাধ্যমিকে বসেছে, সেখানে বিজ্ঞানের পড়ুয়া ৮০ হাজারের মতো। এটা বাঞ্ছনীয় নয়। একটা বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজে দাঁড়িয়ে এটা কখনওই কাম্য নয়। ফলে সায়েন্স পড়ায় উৎসাহ দিতেই ন্যূনতম ভর্তির মাপকাঠি কমানো হয়েছে। দেখতে চাইছি কী হয়। এমনও সম্ভাবনা থাকছে, বিজ্ঞানের জন্য নয় এমন পড়ুয়াও বিজ্ঞান নিয়ে নিল। তবু সার্বিকভাবে বিষয়টা দেখতে চাইছি।”