Dengue: পুরনিগম সচেতন থাকছে, মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে, ডেঙ্গি নিয়ে পরামর্শ মেয়র ফিরহাদের

KMC: শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলির হালহকিকতে নজরদারি চালাতে স্বাস্থ্যভবনের তরফে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, তা ডেঙ্গিতে হয়েছে কি না, তা ওই কমিটিই বলবে।

Dengue: পুরনিগম সচেতন থাকছে, মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে, ডেঙ্গি নিয়ে পরামর্শ মেয়র ফিরহাদের
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা কলকাতা পুরনিগমের।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 09, 2022 | 5:26 PM

কলকাতা: বর্ষার শুরুতেই মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বেড়েছে। বিশেষ করে শহরের ‘অ্যাডেড এরিয়া’, যেমন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ড, ১২৭ নম্বর ওয়ার্ড, ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার সংক্রমণের অভিযোগ উঠে এসেছে। এ নিয়ে শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, গ্রাম এলাকায় ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া বাড়ছে। শহরের ‘অ্যাডেড এরিয়া’গুলিতেও মশাবাহিত রোগের সংক্রমণ বাড়ছে। তিনি জানান, পুর এলাকায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় বৈঠক করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, মশার লার্ভা যেসব জায়গায় জন্মাবে, সব জায়গাতেই ডেঙ্গির দাপাদাপি বাড়বে। স্থানীয়দের তাই সচেতন হতে হবে। সাধারণ মানুষকেও দায়িত্ব নিতে হবে, বক্তব্য মেয়রের। যে সমস্ত জায়গায় ডেঙ্গির লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে বা আগেও প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে, সেইসব জায়গায় নজরদারি বাড়াচ্ছে পুরনিগম। জমা জল একেবারেই নয়। মানুষ সচেতন থাকলে বিপদ সহজেই টলানো যায়, মত চিকিৎসকদেরও।

শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলির হালহকিকতে নজরদারি চালাতে স্বাস্থ্যভবনের তরফে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোনও রোগীর মৃত্যু হলে, তা ডেঙ্গিতে হয়েছে কি না, তা ওই কমিটিই বলবে। স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা রয়েছেন সেই কমিটিতে। এই কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোনও মৃত্যুকে ডেঙ্গি বলা যাবে না। কমিটির মাথায় হয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা। এ ছাড়াও ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিস, ডিরেক্টর অব পাবলিক হেল্থ, জয়েন্ট ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিস থাকছেন এই কমিটিতে। রাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও সেই কমিটিতে রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

গতমাসেই কলকাতায় ডেঙ্গির ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হয় কলকাতার দু’টি সরকারি হাসপাতাল ও দু’টি বেসরকারি হাসপাতালকে। প্রাথমিকভাবে বিসি রায় শিশু হাসপাতাল, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের নাম শোনা গিয়েছে। জাপানের একটি সংস্থা এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে। ৪ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সীদের ডেঙ্গির টিকা দেওয়া হবে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের এই পর্যায়ে।