Assembly: সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে এবার আরও কঠোর শাস্তি! বিধানসভায় আসতে চলেছে সংশোধনী

Assembly: বাস ভাঙচুর, সরকারি গাড়ির কাচ ভাঙা এমনকী পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে অতি সম্প্রতি। এমনও দেখা গিয়েছে, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে লুঠপাটও চলে দেদার।

Assembly: সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে এবার আরও কঠোর শাস্তি! বিধানসভায় আসতে চলেছে সংশোধনী
এরকম দৃশ্য রুখতেই আইনে কড়াকড়ির সম্ভাবনা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 20, 2023 | 9:30 PM

কলকাতা: সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর নিয়ে আরও কঠোর হতে চলেছে রাজ্য সরকার। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে সংশোধনী বিল আনতে চলেছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত আইন রয়েছে। তাতে আরও কিছু সংযোজন হতে চলেছে বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। যা আরও কঠোর হবে বলেই মত প্রশাসনিক মহলের। এতদিন সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দিতে হত অভিযুক্তকে। এবার শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ নয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর সম্পত্তি পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করতে পারে সরকার। সূত্রের খবর, সংশোধনী আইনে এরকম কিছু কড়া পন্থারও উল্লেখ থাকবে। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের হিসাব নিকাশ করবেন সরকারি আধিকারিক। সেই অনুসারে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে অভিযুক্তের।

কেন আরও কঠোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই আইনে? সূত্রের খবর, বারবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। ওয়াকিবহাল মহলের পর্যবেক্ষণ, রাজনৈতিক মিটিং মিছিল কিংবা কোনও সরকারি সিদ্ধান্তে সহমত না হলেও দেখা যায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার প্রবণতা।

বাস ভাঙচুর, সরকারি গাড়ির কাচ ভাঙা এমনকী পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাও ঘটেছে অতি সম্প্রতি। এমনও দেখা গিয়েছে, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে লুঠপাটও চলে দেদার। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের বিরোধিতায় আইন আরও কঠোর হলে একদিকে যেমন দুষ্কৃতীদের বার্তা দেওয়া যাবে। একইসঙ্গে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুবিধা সরকারের।

মঙ্গলবার চলতি বাজেট অধিবেশনের এই পর্বের শেষদিন। এরপর আবার মার্চে শুরু হবে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব। ৬ মার্চ থেকে ফের শুরু হবে অধিবেশন। ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৩। তাই মাঝের সময় বন্ধ থাকবে বিধানসভা অধিবেশন। মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের এই পর্বের শেষ দিনে দ্বিতীয়ার্ধে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর নিয়ে সংশোধনী বিল আনা হতে পারে।

গত সেপ্টেম্বরে শহরে এক রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কিছুদিন আগেও ধর্মতলায় অশান্তির ছবি দেখা যায়। গত অগস্টে বর্ধমান শহরে কার্জন গেট এলাকায় ভেঙে ফেলা হয়েছিল বিশ্ববাংলার লোগো। সবকটা ঘটনাই রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে। বিরোধীদের প্রশ্ন, রাজ্যে রাজনৈতিক বিক্ষোভ বাড়ছে। তা ঠেকাতেই কি আইন সংশোধনীর পথে হাঁটতে চাইছে সরকার?