Privilege Motion against Ed and CBI: এবার বিধানসভায় ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ
West Bengal Assembly: সিবিআই ও ইডির দুই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও রথীন বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: ইডি-সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এবার বিধানসভায় স্বাধিকারভঙ্গের অভিযোগ আনলেন বিধানসভার উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। সিবিআই ও ইডির দুই আধিকারিক সত্যেন্দ্র সিং ও রথীন বিশ্বাসকে তলব করেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বারবার তাঁরা সেই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। যা স্পিকারের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন সরকারি দলের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। আর সেই কারণেই ডিএসপি সিবিআই সত্যেন্দ্র সিং ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর রথীন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দুই এই তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে বিধানসভার যে বিস্তর টানাপোড়েন চলেছে, সেই ইস্যুতে মঙ্গলবারই স্পিকারের মুখে উঠে আসে। তার বিস্তারিত তথ্য দেন স্পিকার। ইডি ও সিবিআই-এর তরফ থেকে বিধানসভার মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা গেল বিধানসভায় এই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনা হল। যা বিধানসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন। এটি দেশের বিধানসভার ইতিহাসেও নজিরবিহীন বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। বিধানসভার বক্তব্য, বারবার তাঁদের তলব করা হলেও, একাধিক অজুহাত দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন ওই দুই আধিকারিক।
এমনকি স্পিকারের অজ্ঞাতসারে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। সেই চার্জশিট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ দেওয়া হয়েছিল বিধানসভা। উল্লেখ্য, এটি বিধানসভার কাজের তালিকাভুক্ত নয়। পরবর্তী অধিবেশনে এই সংক্রান্ত প্রিভিলেজ কমিটি রিপোর্ট পেশ করবে। প্রিভিলেজ কমিটি গতানুগতিক পদ্ধতি তদন্ত শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, সিবিআই, ইডির অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সম্প্রতি অর্ডিন্যান্স জারি করেছে কেন্দ্র। অধিকর্তাদের কাজের মেয়াদ দু’ বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল। টুইটারে সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন।
বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান পদে রয়েছেন এস কে মিশ্র। ২০১৮ সালে তাঁকে ইডি অধিকর্তার পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলাও গড়িয়েছিল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল এন রাওয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, কেবল মাত্র বিরল এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
আগামী ১৭ নভেম্বর ইডি অধিকর্তা এস কে মিশ্রের বর্ধিত কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। গতবছরই তাঁর দুই বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার তা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এবার ঠিক তাঁর বর্ধিত কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্স নিঃসন্দেহে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: এখনই কড়া ব্যবস্থা নয়, তিনটি মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল