Attack on TV9 Bangla: TV9 বাংলার সাংবাদিককে বেধড়ক মার বিভাসের দুই ছেলের, এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না কাউকে?

Birbhum: সুজয় কিন্তু নলহাটি থানায় যে এফআইআর করেছেন, তাঁকে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিভাস অধিকারীর দুই ছেলের কথা।

Attack on TV9 Bangla: TV9 বাংলার সাংবাদিককে বেধড়ক মার বিভাসের দুই ছেলের, এখনও কেন গ্রেফতার করা গেল না কাউকে?
বিভাস অধিকারীর দুই ছেলে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 28, 2023 | 11:00 AM

বীরভূম: টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিককে মারধরের ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা পার হতে চলেছে। এখনও পুলিশের জালে ধরা পড়ল না একজনও। রিপোর্টার সুজয় পাল ও ক্যামেরাপার্সন রজত শিকদারকে মারধরের ঘটনায় বিভাস অধিকারীর দুই ছেলের নেতৃত্বের কথা উঠে এলেও তাঁরা বহাল তবিয়তেই বাইরে ঘুরছেন। বিভাসের দুই ছেলে অর্ঘ্য ও সায়নই টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিকদের মারধর, ক্যামেরা ভাঙার হোতা। অথচ এখনও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করে উঠতে পারল না প্রশাসন। কেন? কোনও বিশেষ চাপ রয়েছে? জবাব এখনও অধরা। আজ সকালেই সুজয় জানিয়েছেন, পেনকিলারে তাঁর শরীরের ব্যথা অনেকটাই কম। তবে এত বড় অপরাধের পরও দোষীরা একজনও গ্রেফতার হয়নি, সেই খারাপ লাগা রয়ে গিয়েছে।

সুজয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে নলহাটি থানায় যে এফআইআর হয়েছে, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিভাস অধিকারীর দুই ছেলের কথা। সুজয়ের সঙ্গে আজ সকালেও কথা হয়েছে পুলিশের। তবে টিভিনাইন বাংলা ভরসা রাখে প্রশাসনের উপর। ভরসা আছে, পুলিশ নিশ্চয়ই অপরাধীদের গ্রেফতার করবে। সোমবারও বীরভূমের পুলিশসুপারের ভূমিকা যথেষ্ট সদর্থক ছিল। তবে প্রশ্ন থাকছে, অর্ঘ্য-সায়নের মাথায় কার হাত? কেন ধরা গেল না এখনও তাঁদের?

বিভাস অধিকারী বীরভূমের নলহাটির তৃণমূল নেতা। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই বলেছেন, কোনও সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি এখন আর নেই। তবে তা সময়ই প্রমাণ করবে। তবে সূত্রের দাবি, তিনি শিক্ষাসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন। তাতে মোটা অঙ্কের লেনদেনও হয়েছে বলেই অভিযোগ। যদিও এখানেও বিভাস নিজেকে ‘সৎ’ বলেই দাবি করেছেন।

অন্যদিকে তাঁর দুই ছেলে অর্ঘ্য এবং সায়নের নামেও জেলায় কান পাতলে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। এই অর্ঘ্য ও সায়ন বাবা বিভাস অধিকারীর প্রতিপত্তি দেখিয়ে নলহাটি-২ ব্লকে একচ্ছত্র রাজত্ব চালান বলেও অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। এমনও এলাকার লোকজনেরই একাংশ বলছে, ৩০-৪০ জন ছেলেকে নিয়ে সবসময় ঘুরে বেড়ান অর্ঘ্য। সায়নের দাপটও কিছু কম নয়। এই সায়নই সুজয়কে সোমবার ধমকি দিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার।

তবে বিভাস অধিকারীকে মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিভাসকে সরাসরি জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। সেখানে কিন্তু খাটবে না বিভাসের ছেলেদের বাহুবল।