TET, Calcutta High Court: টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশে ভুল রয়েছে, হাইকোর্টে স্বীকার করে নিল পর্ষদ
West Bengal Board of Primary Education: আদালতের প্রশ্ন, যাঁদের লিস্টে নাম নেই... তাঁদের নিয়ে কী ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? আগামিকাল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার তা জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে এবং তা আপডেট করতে হবে পর্ষদের ওয়েবসাইটেও।
কলকাতা : ভুল স্বীকার করে নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউয়ের লিস্ট প্রকাশ নিয়ে ভুল হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০ ডিসেম্বর বোর্ডের লিস্ট প্রকাশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। সেই মামলায় বুধবার পর্ষদ স্বীকার করে নিল যে, ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশে ত্রুটি ছিল।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেটে সম্প্রতি ৭৩৮ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল বোর্ড। সেই তালিকা প্রকাশের ঠিক একদিন পরেই মামলা দায়ের করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে যে টেট পরীক্ষা হয়, তাতে প্রশ্নভুলের একটা বিতর্ক তৈরি হয়। অনেকে অকৃতকার্য হন। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সেই মামলার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারেই ২০ ডিসেম্বর আরও ৭৩৮ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার তাতেও ভুল।
আদালতের প্রশ্ন, যাঁদের লিস্টে নাম নেই… তাঁদের নিয়ে কী ভাবছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? আগামিকাল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার তা জানাতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে এবং তা আপডেট করতে হবে পর্ষদের ওয়েবসাইটেও।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ভুলের কারণে যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, এবং পরবর্তীতে হাইকোর্টের নির্দেশে তাদের টেট উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়, সেই উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সমস্ত নথি যাচাইয়ের জন্য সময় দেওয়া হয়। যদি অনলাইনে অসুবিধা হয় সেক্ষেত্রে ওই মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীরা সরাসরি নথি জমা করতে পারবেন বলেও জানানো হয়।
কিছুদিন আগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ভুল থাকার জন্য ২০১৮ সালে বিচারপতি (Calcutta High Court) সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ভুল প্রশ্নের উত্তর যারা দিয়েছেন তাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর দিতে হবে। কিন্তু পর্ষদ তা করেনি। যা আদালত অবমাননার শামিল বলেই মনে করে আদালত। এ নিয়ে মামলাও হয়। পর্ষদ সভাপতিকে নির্দেশ দেওয়া হয়, প্রত্যেক মামলাকারীকে জরিমানা দেবেন তিনি। পাশাপাশি গত ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, মানিক ভট্টাচার্যকে সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে। সেই মতো সোমবারই হাজিরা দেন তিনি। এরপরই ১৪ সেপ্টেম্বর ৪৬৭ জন টেট উত্তীর্ণকে স্ক্রুটিনি, তথ্য যাচাই ও ভাইভার জন্য ডেকে পাঠানো হয়।