Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vivek Agnihotri: ‘সেদিন যাদবপুরে ঢুকে মনে হয়েছিল ভারতে না, অন্য দেশে আছি’, বিস্ফোরক দ্য কাশ্মীর ফাইলস’র পরিচালক

Vivek Agnihotri: 'মা আমাকে কলকাতার কথা বলতেন। আমি লেফটিস্ট ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝেছি এটা ধ্বংসের রাস্তা', বলেন বিবেক।

Vivek Agnihotri: 'সেদিন যাদবপুরে ঢুকে মনে হয়েছিল ভারতে না, অন্য দেশে আছি', বিস্ফোরক দ্য কাশ্মীর ফাইলস'র পরিচালক
পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 1:07 AM

কলকাতা: বামপন্থা ধ্বংসের পথে নিয়ে যায়, রবিবার কলকাতায় এসে এমনই বিস্ফোরক দাবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) ছবির পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর (Vivek Agnihotri)। এদিন কলকাতা মিউজিয়ামে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিবেক। সেখানেই বিবেক বলেন, বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন প্রথম থেকেই। জেল পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটা সময়ের পর তাঁর অন্য উপলব্ধি হয়। বিবেকের কথায়, “আমি নিজে একজন বামপন্থী ছিলাম। জেলেও গিয়েছি। পরে বুঝেছি এটা একটা বিনাশের রাস্তা।” একইসঙ্গে বিবেক তাঁর ছোটবেলার স্মৃতির সঙ্গে কলকাতার ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে থাকার কথাও বলেন এদিন। একইসঙ্গে তুলে ধরেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বুদ্ধা ইন অ্যা ট্রাফিক জ্যাম’ ছবির স্ক্রিনিংয়ে গিয়ে সেই ‘খারাপ অভিজ্ঞতা’র কথাও।

বিবেক অগ্নিহোত্রী বলেন, “আমার মা-বাবা দু’জনই স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। কলকাতাতেই থাকতেন। তাঁদের বিয়েও হয়েছিল এই কলকাতাতেই। কাকতালীয়ভাবে মা-বাবার বিয়ে হয়েছিল ১৩ মার্চ ১৯৪২ সালে। আর আজ ১২ মার্চ। আমার মা ১৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন। মা আমাকে সবসময় বলতেন, তোমায় যদি ভাল মানুষ, জাগরূক মানুষ, ভারতের ভাগ্য বদলাতে পারে এমন মানুষের সাক্ষাৎ করতে হয় তাহলে বাংলায় যাও। মা আমৃত্যু এ কথা বলতেন। মায়ের কাছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুনেছি।”

এরপর ‘বুদ্ধা ইন অ্যা ট্রাফিক জ্যাম’ ছবি মুক্তি নিয়ে যখন নানা জায়গায় জটিলতার মুখে পড়তে হয়, তখন তাঁর মাথায় এসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। বিবেক বলেন, “বহু রিসার্চ করে বুদ্ধা ইন অ্যা ট্রাফিক জ্যাম ছবিটা বানাই। ওই ছবি বহুদিন বলিউডের লোকেরা রিলিজই করতে দেয়নি। মায়ের কথা তখন মনে হয়েছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মাথায় এসেছিল। যাইও। কিন্তু সেদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটে পৌঁছতেই আমার গাড়ি ১৯ থেকে ২২ বছরের একদল ছেলেমেয়ে ঘিরে ফেলল। গরিব বিহারের এক ড্রাইভার ছিল আমার, ওকে মারল। গাড়ি ভাঙল। আমি বেরিয়ে আসতেই আমার উপর হামলা করল। আমার কাঁধ ভেঙে দিল। আজও পুরোপুরি তা ঠিক হয়নি। যে যাদবপুরের কথা শুনে আমি বড় হয়েছি, কী কারণে ওখানে যেতেই সেদিন মনে হল আমি ভারতে নয়, অন্য দেশে আছি।”