উপনির্বাচন কি দুয়ারেই? মঙ্গলবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলল কমিশন

Election Commission: সাধারণত, উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হয় এই প্রক্রিয়াকে।

উপনির্বাচন কি দুয়ারেই? মঙ্গলবার থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করতে বলল কমিশন
বাকি আসনে উপনির্বাচন কি পুজোর ছুটির পরে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2021 | 9:28 PM

কলকাতা: এখনই উপনির্বাচন না চেয়ে বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বঙ্গের ৫ আসনে উপনির্বাচন পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকেই ভবানীপুর-সহ মোট ৫ টি বিধানসভা কেন্দ্রে FLC (ফার্স্ট লেভেল চেকিং) শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত, উপনির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখা হয় এই প্রক্রিয়াকে। কোনও কেন্দ্রের বিধায়ক ইস্তফা দিলে বা নির্বাচন বাতিল হয়ে যাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই এফএলসি প্রক্রিয়া পুরো করার নির্দেশ দিয়ে থাকে কমিশন।

কমিশনের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩ অগস্ট থেকে এই এফএলসি প্রক্রিয়া শুরু হবে রাজ্যের ৫ বিধানসভা কেন্দ্রে। ৬ অগস্টের মধ্যেই তা শেষ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট বদল করা হয়। ভবানীপুর-সহ দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর ও গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে এফএলসি করা হবে। এই উপলক্ষে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের যে কোনও দু’জন প্রতিনিধিকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। পরপর ৪ দিন ৫ কেন্দ্রে এফএলসি চলবে।

সূত্রের খবর, রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সমীক্ষা করে চলতি মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতেই উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিতে পারে কমিশন। অক্টোবরে পা রাখার আগেই ৫ কেন্দ্রের উপনির্বাচন এবং দুই কেন্দ্রের নির্বাচন সেরে ফেলা হতে পারে। বাংলার করোনা পরিস্থিতি বর্তমানে মোটের উপর নিয়ন্ত্রণে। যদি রাতারাতি পরিস্থিতি বদল না হয়, তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে পাঁচ আসনে উপনির্বাচন এবং দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় কমিশন। যদিও শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে এফএলসি হচ্ছে না। কারণ সেই আসনগুলিতে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তা সেরে ফেলা হয়েছে। সেখানে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনই হবে।

নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে লড়তেও সামান্য ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেন তিনি। এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেওয়ার ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করতে হবে। অর্থাৎ, উপনির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে মমতার কাছে। কারণ ২ মে ভোটে জেতার পর গত ৬ মে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা। সেই কারণে তৃণমূল গত কয়েকদিন ধরেই উপনির্বাচনের দ্রুত আয়োজন করতে উদ্যোগী হয়েছে। গত মাসে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল এই নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়।

বিজেপি যদিও কোনও ভাবেই এই সময়ে উপনির্বাচনের পক্ষপাতী নয়। বিরোধীদের দাবি, বর্তমানে করোনার পরিস্থিতির মধ্যে উপনির্বাচন করানো যাবে না। যদিও তেমনটা হলে এ রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। তাই সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই পাঁচ আসনে উপনির্বাচন এবং দুই আসনে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারে কমিশন। সূত্রের খবর এমনটাই। আরও পড়ুন: উনি নিজে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে ভোট নিয়ে এত তাড়া’, উপনির্বাচন প্রসঙ্গে মমতাকে তোপ দিলীপের