Panchayat Elections 2023: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার অধিকার কারও নেই, মনোনয়ন-বাতিল মামলায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

ISF: আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০ জুন দিনভর কমিশনের তালিকায় ৮২ জনের নাম থাকলেও, রাতে তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ হয়ে যায়। আগের দিনই আদালত বলেছিল, প্রতিযোগিতা ছাড়া কেউ জিতে যাবে এটা হতে পারে না।

Panchayat Elections 2023: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার অধিকার কারও নেই, মনোনয়ন-বাতিল মামলায় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
নওশাদ সিদ্দিকী। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2023 | 4:59 PM

কলকাতা: ভাঙড়-২ ব্লকে (Bhangar) ৮২ জনের মনোনয়ন বাতিল মামলায় অস্বস্তি বাড়ল কমিশনের। ৮২ জনই আইএসএফ প্রার্থী। সোমবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা মনোনয়নগুলি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতার অধিকার কারও নেই। সবাইকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে যাবতীয় অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে বারংবার। কোনওভাবে যদি ত্রুটি হয়ে থাকে, সেটা শোধরাতে হবে কমিশনকে। ২৮ জুনের মধ্যে সমস্ত প্রক্রিয়া ত্রুটিমুক্ত করারও নির্দেশ দেন তিনি। আদালতের স্পষ্ট বার্তা, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের কোনও সুযোগই নেই। এদিন আদালত কার্যত বুঝিয়ে দিল, মনোনয়ন ঠিক থাকলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও বাধা নেই। আদালতের এই নির্দেশে খুশি ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তবে শুনিয়ে রেখেছেন, কমিশন যথাযথ ভূমিকা না নিলে ফের আদালতে যাবেন তাঁরা।

ভাঙড়-২ ব্লকে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের (ISF) অধিকাংশ মনোনয়নই বাতিল হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তা বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালতে যায় আইএসএফ। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ২০ জুন। আইএসএফ প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০ জুন দিনভর কমিশনের তালিকায় ৮২ জনের নাম থাকলেও, রাতে তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ হয়ে যায়। আগের দিনই আদালত বলেছিল, প্রতিযোগিতা ছাড়া কেউ জিতে যাবে এটা হতে পারে না। এদিনও সেই কথাই বলা হয়। একইসঙ্গে যাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে তাঁদের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য খতিয়ে দেখারও নির্দেশ দেয় কোর্ট।

এদিন কোর্টচত্বরে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তাঁকে পাশে নিয়েই মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, “গণতন্ত্রের নিয়মই সমস্ত প্রার্থীকে লড়ার সুযোগ দেওয়া। ভোটে হার জিত থাকবেই। শাসকদল কেন এত ভয় পাচ্ছে এটাই বড় প্রশ্ন। মহামান্য আদালতের নির্দেশে আমরা খুবই খুশি। আমাদের যে প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, বিচারপতি ফের সুযোগ দিলেন।”

নওশাদ সিদ্দিকিও এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাসকদলের তরফে কেমন জটিলতা তৈরি করা হয়েছিল, সকলেই জানেন। এরপরও বহু বাধাকে উপেক্ষা করে আমরা মনোনয়ন জমা দিই। তারপর হঠাৎ ওয়েবসাইট থেকে আমাদের ৮২ জন প্রার্থীর নাম তুলে দেয়। তারপরই আমরা আদালতে আসি।”