Mamata Banerjee: যাদবপুরে ‘গোলি মারো’ স্লোগানে ক্ষুব্ধ মমতা, প্রত্যেককে গ্রেফতারির নির্দেশ

Mamata Banerjee: যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু 'গুলি মারার' অধিকার যে কারও নেই, সেই বার্তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা।

Mamata Banerjee: যাদবপুরে 'গোলি মারো' স্লোগানে ক্ষুব্ধ মমতা, প্রত্যেককে গ্রেফতারির নির্দেশ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2023 | 5:42 PM

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডের প্রতিবাদে গত সপ্তাহেই পথে নেমেছিল এবিভিপি। বিজেপির যুব মোর্চাও আলাদা করে রাস্তায় নেমেছিল একই দিনে। জোড়া মিছিলে উত্তাল হয়েছিল যাদবপুর চত্বর। অভিযোগ, সেদিন এবিভিপি-র মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগানও ওঠে। যদিও সঙ্গে সঙ্গে মিছিলে অংশগ্রহণকারী বাকিরা বিষয়টি আর এগোতে দেননি। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুঝিয়ে দিলেন, এই ধরনের স্লোগান কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। জানালেন, তিনি পুলিশ-প্রশাসনকে বলে দিয়েছেন যাঁরা ‘গোলি মারো’ স্লোগান তুলেছেন, প্রত্যেককে গ্রেফতার করতে হবে।

যাদবপুরের হস্টেলে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে র‌্যাগিং-এর অভিযোগ ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। সেসবের প্রতিবাদেই গত শুক্রবার মিছিল করেছিল এবিভিপি। যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু ‘গুলি মারার’ অধিকার যে কারও নেই, সেই বার্তাও স্পষ্ট করে দিলেন মমতা। বললেন, ‘যাদবপুরে বিক্ষোভ দেখাবি দেখা। আমার তো দুঃখের সীমা নেই। বিচার চাও। কিন্তু বিচার চাওয়ার পদ্ধতি এটা নয়, গোলি মারো। দেখি তো কত বড় সাহস। মার গোলি এখানে, আমি দেখছি তোদের।’

এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে বাংলার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র ভোট করানোর বিষয়ে কথা বলছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়েই ছাত্র ভোট ঘিরে বিরোধী সংগঠনগুলি গোলমাল পাকাতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা শোনা যায়। সম্প্রতি এবিভিপি-র মিছিল থেকে ‘গোলি মারো’ স্লোগানের কথাও উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। বুঝিয়ে দিলেন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিল করার অধিকার থাকলেও, কাউকে গুলি মারার অধিকার কারও নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ১৪১ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তাতে কতজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন? ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে। পুলিশ তাতে অসহযোগিতা করছে, প্রমাণ লোপের চেষ্টা করছে।’