IS: আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবক হাওড়া পুরসভার ঠিকাদার, আদালতে বিস্ফোরক দাবি আইনজীবীর

IS: সাদ্দামের উপর শিক্ষিত যুবাদের ‘মগজধোলাই’-এর ভার ছিল। সূত্রের খবর, সাদ্দামের মগজ ধোলাইয়ের শিকার সইদ আহমেদও। যিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া।

IS: আইএস জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবক হাওড়া পুরসভার ঠিকাদার, আদালতে বিস্ফোরক দাবি আইনজীবীর
আদালতে তোলা হয় সৈয়দকে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 19, 2023 | 5:07 PM

হাওড়া: চলতি মাসের শুরুতেই জঙ্গি সন্দেহে হাওড়ার (Howrah) দুই যুবককে গ্রেফতার করে এসটিএফ। মহম্মদ সাদ্দাম ও সইদ আহমেদ নামে ওই যুবককে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। এবার কার্যত বিস্ফোরক তথ্য সামনে এল। তাও আবার ধৃত মহম্মদ সৈয়দের আইনজীবীর হাত ধরেই। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় সৈয়দ ও সাদ্দামকে। সেখানে সৈয়দের আইনজীবী দাবি করেন, হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদারের কাজ করতেন সৈয়দ। ধৃত মহম্মদ সৈয়দের আইনজীবী শঙ্কর মুখোপাধ্যায় তাঁর মক্কেলের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদার হিসাবে কাজ করতেন মহম্মদ সৈয়দ। নেহা কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থাও খুলেছিলেন তিনি। সেই সংস্থা হাওড়া পুরসভার মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন কাজ করত। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দকে এদিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তাঁদের তোলা হলে, সৈয়দের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেল হাওড়া পুরসভায় ঠিকাদার হিসাবে কাজ করেছেন। রাস্তা নির্মাণ, নিকাশি-সহ একাধিক কাজ করেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন আদালতে সৈয়দের বিভিন্ন নথিও পেশ করেন তাঁর আইনজীবী।

হাওড়া পুরসভার সঙ্গে জঙ্গি সন্দেহে ধৃত যুবকের যোগ, এই তথ্য় সামনে আসার পর একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, আদালতে বলা হয়েছে, বহুদিন ধরেই কাজ করছে নেহা কনস্ট্রাকশন কাজ করছে হাওড়া পুরসভায়। সূত্রের খবর, শুধু এই সংস্থা কাজই করেনি, এই সংস্থায় একাধিক ঠিকাকর্মী কাজ করতেন। অর্থাৎ সৈয়দের সংস্থা সংস্থা তৈরি করে সেখানে লোক নিয়োগ করেছে, তাঁরা পুরসভার বিভিন্ন কাজও করেছেন। অর্থাৎ এখানে আর্থিক লেনদেনের একটা প্রশ্নও যে থাকছেই তাও মন ওয়াকিবহাল মহলের। প্রশ্ন উঠছে, হাওড়া পুরসভা কিছুই কি জানতে পারল না? ঠিকাদার নিয়োগের সময় তথ্যযাচাইয়ের বিষয়ে কি কোনও কড়াকড়ি নেই, তা নিয়েও নানা প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।

কলকাতা এসটিএফের আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় এদিন মহম্মদ সাদ্দাম ও সইদ আহমেদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করার আবেদন জানান আদালতে। এই ধারা যুক্ত হওয়া মানে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা। এই ধারা যুক্ত হবে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সৈয়দের আইনজীবী এদিন এজলাসে যা দাবি করেছেন, তা কিন্তু অবাক করার মতোই।