C V Ananda Bose: অবশেষে রাজ্যের তালিকায় সম্মতি বোসের, পুজোর মরশুমে বন্দিমুক্তিতে গ্রিন সিগনাল
C V Ananda Bose: এর আগে স্বাধীনতা দিবসের আগে বন্দিমুক্তি ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ দেখা গিয়েছিল। রাজ্যের তরফে যে প্রস্তাবিত বন্দিমুক্তির তালিকা পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের থেকেও জবাবও চেয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা: দুর্গাপুজোর সময়ে যোগ্য বন্দিদের মুক্তির নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। মেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত ৭১ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজভবন থেকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে নবান্নে। এই ৭১ জন বন্দি ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া আরও ১৬ জন বিদেশি বন্দি নাগরিককেও কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন নিয়ে বিবেচনা করে মুক্তির জন্য বলেছেন রাজ্যপাল বোস।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্বাধীনতা দিবসের আগে বন্দিমুক্তি ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ দেখা গিয়েছিল। রাজ্যের তরফে যে প্রস্তাবিত বন্দিমুক্তির তালিকা পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের থেকেও জবাবও চেয়েছিলেন তিনি। রাজ্যের তরফে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়ায় সেই সময় ফাইলে অনুমোদন দেননি তিনি।
অবশেষে পুজোর মরশুমে রাজ্যের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে বিদেশি নাগরিক সহ মোট ৮৭ জন মেয়াদি সাজাপ্রাপ্ত বন্দির মুক্তিতে সম্মতি জানালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
সাধারণত বিভিন্ন সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের আচরণের উপর ভিত্তি করে এই বন্দিমুক্তির তালিকা তৈরি করা হয়। স্বাধীনতা দিবস ও সাধারণতন্ত্র দিবসে বন্দিমুক্তির জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে কার আচরণ, কেমন তা বিবেচনা করে দেখে কারা দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, আইন দফতর ও বিচার ব্যবস্থা দফতর। চারটি দফতর মিলে এই তালিকা তৈরি করে। তারপর সেটি রাজভবনে পাঠানো হয় এবং রাজ্যপাল তাতে অনুমোদন দিলে তালিকা চূড়ান্ত হয়।
কিন্তু এবার ১৫ অগস্টের জন্য যে বন্দিমুক্তির তালিকা রাজ্যের তরফে পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে, তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। অবশেষে পুজোর মুখে বন্দি মুক্তিতে সবুজ সংকেত দিলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।