আইসিইউ-তে ভর্তি রোগীর ফিজিওথেরাপির খরচ! দু’টি হাসপাতালকে লক্ষাধিক টাকা ফেরানোর নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের
অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ অব্যাহত। যার জেরে ফের দু'টি হাসপাতালকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন।
কলকাতা: রোগী ভর্তি আইসিইউ-তে। তবুও ফিজিওথেরাপির জন্য খরচ কীসের! ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জামে ছাড় নেই কেন? নির্দেশিকার বাইরে কী ভাবে ডক্টর ফি! বুধবার এ সব প্রশ্নে স্বাস্থ্য কমিশনের কোপে পড়ল নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। অতিরিক্ত বিলের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৬৪ টাকা ফেরতের নির্দেশ স্বাস্থ্য কমিশনের। পৃথক একটি ঘটনায় সোনারপুরের একটি কো-অপারেটিভ হাসপাতালকে আবার ২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ফেরৎ দিতে বলল কমিশন।
অতি মহামারীতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত বিলের অভিযোগ অব্যাহত। যার জেরে ফের দু’টি হাসপাতালকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন। প্রথম ঘটনায় দুই প্রবাসী চিকিৎসক অমিতেন্দু শেখর এবং অলকেন্দু শেখরের বাবা-মা ২৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হয়ে নিউটাউনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। ৮৪ বছরের বাবা অর্ধেন্দু শেখর ১৪ দিন এবং ৭৬ বছরের বৃদ্ধা মা একই দিনে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। দু’জনের বিল হয়েছিল প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। অতিরিক্ত বিলের অভিযোগে কমিশনের দ্বারস্থ হন ছেলেরা।
বুধবার স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আইসিইউ বেডে রোগী থাকলে তার নড়াচড়ার কথা নয়। সেখানে ফিজিওথেরাপির জন্যও খরচ নেওয়া হয়েছে! চিকিৎসকদের যে ফি বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই নির্দেশিকাও মানা হয়নি। চিকিৎসায় গাফিলতি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তির জন্য দুই চিকিৎসককে মেডিক্যাল কাউন্সিলে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালের বকেয়া থেকে ৪ লক্ষ ৯ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৬৪ টাকা কেটে নিয়ে বাকি টাকা ফেরৎ দিতে বলেছে।
অপর ঘটনাটি মে মাসের। চন্দনগরের বাসিন্দা তুষারকান্তি বিশ্বাসকে (৬৭) কোথাও ভর্তি করতে না পেরে সোনারপুরের একটি কো-অপারেটিভ হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন ছেলে অনুপম বিশ্বাস। এক্ষেত্রে ১৫ দিনে চিকিৎসকদের ভিজিটিং ফি শুধু ৮৩ হাজার! প্রত্যন্ত এলাকায় আইসিইউ বেডের চার্জ কীভাবে ১০ হাজার টাকা তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন কমিশন কর্তা। ৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বিল হয়েছিল। ২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ফেরৎ দিতে বলেছে স্বাস্থ্য কমিশন। আরও পড়ুন: পুরসভার ‘ভুলেই’ কোভ্যাক্সিনের আকাল শহরে! স্বীকার করলেন অতীন ঘোষ