Kalighat Kaku: ভদ্র ‘কাকু’র বিরুদ্ধে এবার জমি দখলের অভিযোগ, ‘বাকসিদ্ধ’ সুজয়ের জবাব ‘গিফট পেয়েছি’

Kalighat Kaku: বাংলার বন্ধু নামে এলাকায় বোর্ড পড়েছিল। এটি নাকি একটি এনজিও। যার মাথায় সুজয় ভদ্র, বলছেন এলাকার লোকজন।

Kalighat Kaku: ভদ্র 'কাকু'র বিরুদ্ধে এবার জমি দখলের অভিযোগ, ‘বাকসিদ্ধ’ সুজয়ের জবাব 'গিফট পেয়েছি'
সুজয় ভদ্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2023 | 3:38 PM

কলকাতা: ভদ্র ‘কাকু’ র নামে এবার জমি দখলদারির অভিযোগ উঠল। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় এই মুহূর্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি নাম সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এই সুজয়কৃষ্ণকে প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন গোপাল দলপতি। তাঁর পরিচয় করান ‘কাকু’ বলে। দাবি করেন, এই ‘কাকু’কে টাকা দিতেন কুন্তল। পরে তাপস মণ্ডল জানান, এই ‘কাকু’র আসল নাম কী। এরপর সংবাদমাধ্যমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবিও করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। তবে এবার সুজয়কৃষ্ণের নামেও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল। বেহালার রায় বাহাদুর রোড সংলগ্ন মাঠ দখলদারির অভিযোগ উঠেছে ‘কাকু’র বিরুদ্ধে। বেহালার নামকরা রায় পরিবার। তাদের নামেই ওই মাঠের পরিচিতি ‘রায়দের মাঠ’।

রায় পরিবারের দাবি, তাদের মতামত নিয়েই এই মাঠে টুর্নামেন্ট, দুর্গাপুজো, কালীপুজো করা হতো। এরপর ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি হঠাৎই ছন্দপতন হয়। বলপূর্বক এক এনজিও মাঠ দখল করে বলে অভিযোগ তোলে রায় পরিবার। রায় পরিবারের বধূ নীলাঞ্জনা রায় বলেন, এনজিওর আড়ালে কলকাঠি নাড়িয়েছেন ওই সংস্থার প্রেসিডেন্ট সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। নীলাঞ্জনা রায়ের আরও দাবি, জমি ফেরাতে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও দিদিকে বলো অনুষ্ঠানে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জমি বাঁচাতে মামলা এখন আদালতের বিচারাধীন।

নীলাঞ্জনা রায় টিভি নাইন বাংলাকে বলেন, “আমাদের মাঠের দাগ নম্বর ৯। ওরা যেটাকে বলছে সেটা ৭। কিন্তু ৯টাকে ওরা ৭ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে। এটা একটা বিরাট গরমিল। এই জন্য কোর্ট শোকজ করেছিল। কিন্তু শোকজের অর্ডার ওরা আজ অবধি দেয়নি। আমি এবং ছোট জা মিলে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ জানাই। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। কোনও ফোন পাইনি। পরে আমরা ফিরহাদ হাকিমের কাছেও যাই। পরবর্তীতে তিনি কোনওরকম সাহায্য করতে পারেননি।”

কোচিং ক্লাবের এক প্রশিক্ষক বলেন, “সুজয় ভদ্রের অনুগামী ছাড়া যে কাউকে জিজ্ঞাসা করুন, সকলে বলবেন এটা শৈলেন রায়দের মাঠ। ওনাদের অনুমতিতে সকালে ফুটবল কোচিং ক্যাম্প হতো। যেদিন থেকে মাঠটা দখল করল, সেদিন থেকে আমার কোচিং ক্যাম্পের বাচ্চারা কোথায় কোথায় থাকে খবর নিল। বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে যেন মাঠে ছেলে না পাঠায়।”

এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘বাংলার বন্ধু’ নামে এখানে একটা বোর্ড লাগানো রয়েছে। তিনি বলেন, “কিছু সমাজবিরোধী এসে মিনারেল ওয়াটার দিয়ে পাঁচিল গাঁথে। রাত ১২টায় জল পাবে না। লরি করে জল নিয়ে এসে গাঁথনি করে। সিমেন্ট গোলা হয় মিনারেল ওয়াটারে। আমরা কিন্তু জানি এটা শৈলেন রায়ের মাঠ। এখানে জ্যোতি বসু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলে মিটিং করেছেন। এরপর এই ঘটনা।”

যদিও ‘কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বাংলার বন্ধু নামে এনজিও আছে। কিন্তু তার কোনও জমি কোথাও দখল করা নেই। আমাদের ভালবেসে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রায় পরিবারের কিছু সদস্য একটা জমি গিফট করে। দখলের প্রশ্ন নেই। গিফট ডিড রয়েছে। জমিতে নোংরা, জঞ্জাল, গাছপালা আছে। সেই জমিতে সামাজিক কাজ হবে। শোভন চ্যাটার্জিকে আমি ব্যক্তিগত বলেছিলাম, বেহালায় এত পার্কিংয়ের সমস্যা, আপনি একটা পার্কিং লট করুন। আমি জমিটা দিচ্ছি। আমি জমিটা গিফট পেয়েছি ভাল কাজের জন্য। ওখানে তো পয়সা নিয়ে ফুটবলের কোচিং হতো। কমার্শিয়াল ওটা। পাড়ার ছেলেটা ফুটবল খেলত না।”