Durga Puja 2022: আগমনীর সুর শহরজুড়ে, দুর্গাপুজোর আগে বিশেষ কভার জিপিও’র
GPO: ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ কভারটি তৈরি হয়। শনিবার জিপিওর রোটান্ডায় এই বিশেষ কভারের উন্মোচন হয়।
কলকাতা: ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছে শারদোৎসব। গত ডিসেম্বরে ফ্রান্সের প্যারিসে ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন হয়। সেই অধিবেশনেই ‘কলকাতার দুর্গাপুজো’-কে ইউনেস্কোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। সেই সম্মানকে মাথায় রেখে ‘বিশেষ কভার’ তৈরি করল জেনারেল পোস্ট অফিস বা জিপিও।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ কভারটি তৈরি হয়। শনিবার জিপিওর রোটান্ডায় এই বিশেষ কভারের উন্মোচন হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন ইউনেস্কো শারদ উৎসবকে যিনি এই সম্মান এনে দিতে বিশেষ ভূমিকার দাবিদার, সেই গবেষক তপতী গুহ ঠাকুরতা, পোস্ট মাস্টার জেনারেল এস এস কুজুর, ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ ঘোষ, সংশ্লিষ্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু-সহ বিশিষ্টরা। তাঁরা অনুষ্ঠানে শারদ উৎসবের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর এই সম্মানকে সামনে রেখে কলকাতায় একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে ধন্যবাদজ্ঞাপন সূচক এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। জোড়াসাঁকো থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে তা রেড রোড পর্যন্ত যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর প্রতিনিধিরাও। সকলেই এই অনুষ্ঠানে মুগ্ধ।
সেদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন ইতিহাসবিদ তথা কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসের প্রাক্তন অধিকর্তা তপতী গুহঠাকুরতা। তিনি জানিয়েছিলেন, “আমার ইউনেস্কোর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল না। ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অব কালচার আমাকে বলেছিল এটা করতে। তাদের হয়ে আমরা কাজটা করেছিলাম। বাংলার হয়েও কাজটা করেছিলাম। কাজটা ছিল কলকাতার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর ইনট্যানজিবল কালচারাল লিস্টে স্থান দেওয়া। সার্ভে আমি বহু বছর ধরে করেছি, আমার নিজের কাজের জন্য। তবে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল।”