AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Durga Puja 2022: ‘ভেদাভেদ ঠিক নয়, বড় হতে গেলে বড় হৃদয়ের দরকার’, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে খোঁচা মীনাক্ষীদের

Durga Puja 2022: এদিনের অনুষ্ঠানে দুর্গাপুজোর শিল্পী ও সহযোগীদের সম্মানিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপস্থিত থাকছেন ৩০ জন শিল্পীর একটি গ্রুপ।

Durga Puja 2022: ‘ভেদাভেদ ঠিক নয়, বড় হতে গেলে বড় হৃদয়ের দরকার’, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি নিয়ে খোঁচা মীনাক্ষীদের
মীনাক্ষী লেখি ও সুভাষ সরকার
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 5:34 PM
Share

কলকাতা: কলকাতার (Kolkata) দুর্গাপুজো (Durgapuja 2022) ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়েই রয়েছে উন্মাদনার আবহ। এই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার আনন্দ সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে শনিবার শহরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি। রয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা রাষ্ট্র মন্ত্রী সুভাষ সরকার। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে ফের একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখা যায় সুভাষকে। তাঁর দাবি এদিনের অনুষ্ঠানে আসার জন্য রাজ্যকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁরা আসেনি। কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি। প্রোটোকল অনুযায়ী আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু, তাতে সাড়া দেয়নি রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, “অতীতে কিভাবে এ রাজ্যে পুজোয় বাধা দেওয়া হয়েছে। সকলে দেখেছেন।” এদিনের অনুষ্ঠানে দুর্গাপুজোর শিল্পী ও সহযোগীদের সম্মানিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উপস্থিত থাকছেন ৩০ জন শিল্পীর একটি গ্রুপ। 

এই স্বীকৃতি দেশের গর্ব বলে মত প্রকাশ করেছেন মীনাক্ষী লেখি। গোটা দেশের এই উদযাপনে সামিল হওয়ার স্বপক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় দূরে রেখে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি  উদযাপনে সকলের এগিয়ে আসা বলেও মত প্রকাশ করেছেন মীনাক্ষী লেখি। সহজ কথায় সাফল্যের কারিগর শুধু রাজ্য নয়। এটাই বোঝাতে চায় কেন্দ্র। সূত্রের খবর, একইসঙ্গে তাঁর সাফ দাবি, ইউনেস্কোর তরফে স্বীকৃতি পাওয়া রাজ্য সরকারের ক্রেডিট নেই। আগেও আবেদন হয়েছিল। কিন্তু তা খারিজ হয়। এবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার পরেই এই স্বীকৃতি মিলেছে। একইসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট দাবি, “ভেদাভেদ করা ঠিক নয়। বড় হতে গেলে বড় হৃদয়ের দরকার পড়ে। ছোট হৃদয়ে হয় না।”

এদিকে এর আগে একাধিকবার দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের নানা অনুষ্ঠান মঞ্চ সাজাতে ব্যবহার হয় নীল-সাদা কাপড়। এদিন এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুষ্ঠানে দেখা গেল বিশেষ চমক। গোটা অনুষ্ঠানস্থল সাজানো হয় গেরুয়া-সাদা কাপড় দিয়ে। এদিকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপন করতে ১ সেপ্টেম্বর শহরের রাজপথে এক বিশাল ধন্যবাদ যাত্রার আয়োজন করেছিল রাজ্য সরকার। এমনকী ১ সেপ্টেম্বর থেকেই রাজ্যবাসীকে উৎসবে মেতে ওঠার ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার কী তারই পাল্টা দিতে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করল কেন্দ্রীয় সরকার? সেই প্রশ্নেও তৈরি হয়েছে চাপানউতর। তবে ইউনিস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এতে রাজ্যের কী ভূমিকা ছিল? এটি আন্তর্জাতিক বিষয়। কেন্দ্র না এগিয়ে এলে এটি কি আদৌ হত? সবাই জেনে গিয়েছেন, কার গবেষণার ফসল এটা। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এত বড়, মহান ব্যাপারে এই তুচ্ছ রাজনীতির কোনও জায়গা নেই।”