Mithun Chakraborty: ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের বাড়ি যাওয়ার আর্জি, শুনে যা বললেন মিঠুন
Mithun Chakraborty: শনিবারই মিঠুনের উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির কর্মী সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ারও কথা রয়েছে।
কলকাতা: শুক্রবারই কলকাতায় পা রেখেছেন ‘মহাগুরু’। শনিবার হেস্টিংসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকেও যোগ দেন বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তী(Mithun Chakraborty)। তিন সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বদের সঙ্গে কথাও বলেন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Election) আগে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার পর মূলত এই মুহূর্তে সংগঠনের অভ্যন্তরে কোন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে কর্মীদের তা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝার চেষ্টা করেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতারা।
সূত্রের খবর, প্রশ্নের উত্তরে অনেক কর্মী দাবি করেছেন একাধিক মূল বিষয়ে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে, মাথাচাড়া দিচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দল। এর উত্তরেই সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছেন মিঠুন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছেন, সমন্বয় সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে আগামী দিনে শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্যা হতে পারে। অবিলম্বে সমন্বয় তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে ভোট পরবর্তী হিংসায় নিহত ও আক্রান্ত কর্মীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সময়, সদ্য শেষ হওয়া নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিজেপি কর্মীরা অনেকেই আহ্বান জানিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তীকে। জানা যাচ্ছে এমনটাও। পুজোর পরে এই বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন বলে জানিয়েছেন মিঠুন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির হয়ে ভোট প্রচারে এসে ‘ডায়লগের ঝড়’ তুলতে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে। তাঁর নিজেরই অভিনয় করা সিনেমার ডায়লগ ছুড়ে আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়। তবে তারপর থেকে বিশেষ সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক ময়দানে দেখতে পাওয়া যায়নি মিঠুনকে। এবার ফের রাজনীতিতে তাঁকে সক্রিয় অবতারে দেখে নতুন করে পদ্ম কর্মীরা অক্সিজেন পাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কলকাতার জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর এই বৈঠক রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে শনিবারই মিঠুনের উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিজেপির কর্মী সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ারও কথা রয়েছে। কথা রয়েছে এদিনই আবার বালুরঘাটে যাওয়ার। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের একটি পুজো হয়। সেই পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। যদিও শীঘ্রই ফের ফিরে আসার কথা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। সূত্রের খবর, ২৬ তারিখ অবধি হুগলি, বর্ধমানের বেশ কিছু পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর।