Electrocution: শহরে পরপর তড়িদাহতের ঘটনা, পুরনিগম যে হুকিং বন্ধ করতে ব্যর্থ, মানছেন মেয়র পারিষদও
KMC: হরিদেবপুর, রাজাবাজারের পর ট্যাংরা। ফের তড়িদাহত হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা: ফের বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা শহর কলকাতায়। একের পর এক শহরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুরপ্রশাসন থেকে সিইএসসি। চিন্তায় রাজ্য প্রশাসনও। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু রুখতে কলকাতা পুরনিগম কোমর বেঁধে রাস্তায় নেমেছে। তবে অভিযোগ, শহর কলকাতাজুড়ে বস্তি ও ঘিঞ্জি এলাকাগুলিতে যেভাবে অবৈধভাবে হুকিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ চুরি চলছে তা বন্ধ করতে ব্যর্থ কলকাতা পুরনিগম ও সিইএসসি।
বিগত দিনে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে শহরে যতগুলি মৃত্যু হয়েছে, তার অধিকাংশের সঙ্গেই হুকিং করে বিদ্যুৎ সংযোগের ঘটনার যোগ পাওয়া গিয়েছে। তা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন কলকাতা পুরসভার আলোক বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপ বক্সী। এ বিষয়ে তিনি সিইএসসি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি সমস্ত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের ও বোরো চেয়ারম্যানদের প্রতিদিন এলাকায় মনিটরিং করার পরামর্শ দিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তাও দেন।
আলো বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপরঞ্জন বক্সী বলেন, “যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। কিন্তু কোনও কোনও জায়গায় যা দেখছি, মানুষকেও সচেতন হতে হবে। আমরা টিম করেছি। এলাকা ঘুরে দেখব। আমি ডিজি সাহেবের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় যাব। যে এলাকায় যাব, সেখানকার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার থাকবেন। আমরা তো যাবই। কিন্তু স্থানীয়দেরও সচেতন হতে হবে। কোথাও হুকিং হচ্ছে, কোথাও ল্যাম্পপোস্ট থেকে তার গুটিয়ে নীচে নামানো হচ্ছে। এগুলো নিয়ে আমরা সচেতনও করে আসব।”
হরিদেবপুর, রাজাবাজারের পর ট্যাংরা। ফের তড়িদাহত হয়ে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। ট্যাংরা থানা এলাকায় একটি খাবারের দোকানের মালিক বান্টি হালদার দোকান থেকে বেরোনোর সময় শাটারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। অভিযোগ তাতেই মারা যান তিনি। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে দোকানের ভিতরে ছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁর দোকান লাগোয়া বিদ্যুতের খুঁটিতে আচমকা আগুন লেগে যায়। এরপর বান্টি দোকান থেকে বেরিয়ে এসে সামনের বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই মারা যান বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।