Mamata-Abhishek Banerjee: অভিষেককে শুভেচ্ছা মমতার, ‘ধন্যবাদ দিদি’, পাল্টা লিখলেন অভিষেক
Abhishek Banerjee: ২৪ এপ্রিল বিকেলে কোচবিহারে পৌঁছে মদন মোহন মন্দিরে পুজো দিয়েছেন অভিষেক। ২৫ এপ্রিল থেকে ৩ দিন এ জেলায় থাকবেন। এরপর যাবেন আলিপুরদুয়ার। সেখানে ১ রাত থেকে জলপাইগুড়ি যাবেন। ২ রাত থাকবেন সেখানে।
কলকাতা: ২৫ এপ্রিল অর্থাৎ আগামিকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’। টানা ২ মাসের এই জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। মূলত তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেকই এই কর্মসূচির প্রধান সেনাপতি। এই কর্মসূচিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি। ২ মাস এই কর্মসূচির জন্য কলকাতার বাইরেও থাকবেন অভিষেক। সোমবারই কোচবিহার পৌঁছেছেন। তৃণমূলের এই নতুন কর্মসূচির প্রশংসায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি’র সেই টুইট রিটুইট করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন অভিষেকও।
টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘প্রথমবার এই ধরনের পলিটিকাল ক্যাম্পেন হচ্ছে তৃণমূলে। আমি অভিষেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দলের সমস্ত কর্মীকে জনসংযোগ যাত্রায় সামিল হওয়ার জন্য বলব। আমরা বাংলার মানুষের আশীর্বাদ চাইছি।’
Thank you Didi! We are resolute in our determination to ensure that your welfare initiatives reach all households regardless of their caste, creed, religion, or political association. WB has and will continue to serve as a beacon of hope and inspiration for others to emulate. https://t.co/YqCTBwfQHi
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) April 24, 2023
এই টুইটটিই রিটুইট করে অভিষেক লেখেন, ‘ধন্যবাদ দিদি। তোমার সমস্ত উন্নয়ন কর্মসূচি সকলের কাছে যাতে পৌঁছয়, তা সুনিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলাকে যাতে সকলে অনুসরণ করে সে কাজ আমরা চালিয়ে যাব।’ এই টুইট নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে। দলের বাকি নেতা-কর্মীরা ঠিক যেভাবে দলনেত্রীকে সম্বোধন করেন এবং তাঁর বার্তাকে পাথেয় করে এগিয়ে চলেন, অভিষেকের সম্বোধনেও সেই ছোঁয়া।
‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচির ২টি ভাগ। একটি ‘জনসংযোগ যাত্রা’, অন্যটি ‘গ্রামবাংলার মতামত’। আগামী ২ মাস জেলায় জেলায় তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁদের কথা শুনবেন। প্রতি জেলায় ঘুরবেন। যে জেলায় ক্যাম্প, সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে ফিরে জেলার প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে জেলা পরিষদ সদস্য, বুথ প্রেসিডেন্টকে ডাকা হবে। প্রত্যেক বুথ সভাপতিকে ডাকা হবে। পদাধিকারী নন, সমাজের গুরুত্বপূর্ণ মানুষকেও ডাকা হবে। ৩ হাজার ৪ হাজার লোককে ডাকা হবে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর গোপন ব্যালটে তাঁদের ভোট নেওয়া হবে। তার নাম হচ্ছে গ্রাম বাংলার মতামত।