Mamata Banerjee: কেন্দ্রের চিঠিতে আধার সমীক্ষায় দমদম থেকে নৈহাটি, আর কোন কোন জায়গার নাম, তালিকা পড়লেন মমতা
Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, "একটা চিঠি পাঠিয়েছে ৪-৫ দিন আগে। অমিত শাহের মিটিংয়ে যে স্ট্র্যাটেজি হয়েছে তা তো আমরা জেনে গিয়েছি।"
কলকাতা: ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্র এনআরসি (NRC), সিএএ (CAA) নিয়ে ঢক্কানিনাদের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে দিন পাঁচেক আগে একটি চিঠি এসেছে আধার সমীক্ষা সংক্রান্ত। বাংলার কয়েকটি নির্দিষ্ট জেলার উল্লেখ রয়েছে সেখানে। সেসব জায়গায় বেআইনি আধার কার্ড খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু করছে কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আবার ওরা আগুনের সঙ্গে খেলছে উইথ NRC কার্ড। ২০১৪ সাল থেকে এটা করছে। যেহেতু দেশজুড়ে প্রতিবাদ হয়, তাই বন্ধ রেখেছিল। আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। অঞ্চলে গিয়ে গিয়ে আমরা যেন আমাদের লোক পাঠিয়ে, ওদের যারা আছে লোক পাঠিয়ে, জয়েন্টলি এনকোয়ারি করে দেখি। যদি একটা বাচ্চারও না থাকে সব বিদেশি। বুঝতেই পারছেন সেই অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প।” মমতা জানান, এই চিঠি মোট ৮ জায়গার জন্য। বেঙ্গালুরু, এর্নাকুলাম, মুম্বইয়েরও নাম রয়েছে। মমতা এদিন বলেন, “প্রথম ফেজ দিয়েছে, এরপর সেকেন্ড ফেজ দেবে। এগুলো করার যুক্তিটা কী? আবার এনআরসি নিয়ে আসা। আর নতুন করে বলা, আমি তোমাদের ক্যা করে দেব। এলাকাগুলো বাছলেই আপনারা দেখতে পাবেন। কা কা করে ডেকেছিল না। মানুষ প্রতিবাদ করেছিল।”
‘একটা কমিউনিটি টার্গেট’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “একটা চিঠি পাঠিয়েছে ৪-৫ দিন আগে। অমিত শাহের মিটিংয়ে যে স্ট্র্যাটেজি হয়েছে তা তো আমরা জেনে গিয়েছি। বিজেপিকে কমিউনাল টেনশন বাড়াতে হবে, কাস্টিজম করতে হবে, যা করবে এজেন্সি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে। আমি তো শুনলাম কেন্দ্র থেকে একটা বড় দল এসেছে। বাংলায় বসে আছে। তথ্য আমাদের কাছেও আসে। সব অফিসার বিজেপির সঙ্গে আছে, এমন নয়। ভোটের আগে আবার চিঠি। আমি রাজনীতি, উন্নয়নমূলক কাজ একসঙ্গে করি। আমি দেখছি, ওরা গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে সিলেক্ট করেছে। উত্তর ২৪ পরগনাকে সিলেক্ট করেছে। জেনেশুনে। একটা কমিউনিটিকে সরাতে।”
তালিকায় চার সাবডিভিশন, কলকাতার এলাকাও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিটি হাতে নিয়ে জায়গার নাম পড়ে শোনান। বলেন, “বারাসত সাবডিভিশনের গোবরডাঙা, হাবড়া, অশোকনগর, দত্তপুকুর, মধ্যমগ্রাম রয়েছে। বসিরহাট সাবডিভিশনের স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, ন্যাজাট, হেমনগর, কোস্টাল সন্দেশখালি, মাটিয়া। বনগাঁ সাবডিভিশনের বাগদা, পেট্রাপোল, গাইঘাটা, গোপালনগর। ব্যারাকপুর সাবডিভিশনের নৈহাটি, শিবদাসপুর, জগদ্দল, বাসুদেবপুর, মোহনপুর, রহড়া, খড়দহ, ঘোলা, নিমতা, নিউ ব্যারাকপুর, দমদম। কলকাতা, সল্টলেক, বাগুইআটি, লেকটাউন, রাজারহাট, নিউটাউন, বসিরহাট পানিটার, আকাহাপুর, হরিদাসপুর, জয়ন্তীপুর, বিড়া, সুটিয়া, ছায়াঘড়িয়া, বাগদা, বাসবঘাটা, গাঙ্গুলিয়া এরকম প্রচুর নাম আছে।”
‘এ রাজ্যে এ নিয়ম মানা হবে না’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রশ্ন তোলেন, কার্ড যদি ভুয়ো হয় তা হলে সরকার এতদিন কী করল? একইসঙ্গে মমতার কথায়, “আমাদের রাজ্যে আধার অত্যাবশ্যক নয়। সুতরাং আমি এটা করব না। ল অ্যান্ড অর্ডার স্টেট সাবজেক্ট। আই এম নট গোয়িং টু ক্যারি দ্য অর্ডার অব এনআরসি অর ক্যা। আমি মনে করি যারা নাগরিক হতে চান আমরা তাদের নাগরিক বানিয়ে দিয়েছি ইতিমধ্যেই। তারা রেশন পায়, স্কুল কলেজ আছে। কেন তাদের প্রতি বছর নাগরিক করব নাগরিক করব বলে ভাওতা দেওয়া হবে। কত বছর চলবে। আমরা সকলে নাগরিক। এনআরসি নিয়ে খেলা আমরা কিছুতেই করতে দেব না।”