Teacher Transfer Guideline: শিক্ষক বদলির নিয়ম বদল, ছাত্রস্বার্থ সুরক্ষিত হলেও প্রশ্ন যেখানে…

Teacher Guideline: নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, স্কুলে প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষক কতজন রয়েছে তা প্রথম গুরুত্ব পাবে। যেখানে বিষয় অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের ব্যবধান অনেক, সেই স্কুলেই বদলি করা হবে শিক্ষককে।

Teacher Transfer Guideline: শিক্ষক বদলির নিয়ম বদল, ছাত্রস্বার্থ সুরক্ষিত হলেও প্রশ্ন যেখানে...
শিক্ষক বদলি নিয়ে নতুন নিয়ম। ছবি PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2023 | 1:26 PM

কলকাতা: স্কুলের শিক্ষক বদলি (School Teacher Transfer) নিয়ে আগেই কড়া বার্তা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার বদলি নিয়ে গাইডলাইনও এনেছে রাজ্য সরকার। গাইডলাইনে ছাত্র-স্বার্থকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এই গাইডলাইন শিক্ষক বদলি আইনের সঙ্গে কতটা সমন্বয় বজায় রেখে চলতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। ২০১২ সালের পর ২০২৩ সালে শিক্ষক বদলির গাইডলাইন তৈরি হল। তাও হাইকোর্টে একাধিক মামলার আবহে। যে মামলাগুলিতে গ্রামের স্কুলগুলির দুর্বিসহ চিত্র উঠে এসেছে। দেখা গিয়েছিল, ছাত্র শিক্ষকের অনুপাতে বিস্তর তফাত। ১০০ জন ছাত্রছাত্রীকে পড়াতে রয়েছেন ১ জন অঙ্কের শিক্ষক। আদালত স্পষ্ট বলেছিল, আগে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ। তারপর শিক্ষকদের অধিকার। শুক্রবার শিক্ষা দফতর যে গাইডলাইন দিয়েছে, সেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে, প্রতিটি সেকেন্ডারি স্কুলে ন্যূনতম শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা বজায় রাখতে হবে।

নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, স্কুলে প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষক কতজন রয়েছে তা প্রথম গুরুত্ব পাবে। যেখানে বিষয় অনুযায়ী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের ব্যবধান অনেক, সেই স্কুলেই বদলি করা হবে শিক্ষককে। যাঁরা নতুন চাকরি পাচ্ছেন, তাঁদের এই ধরনের স্কুলে বেশি পাঠানো হতে পারে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের পছন্দের জেলাতেই বদলির ব্যবস্থা থাকবে। তবে প্রয়োজনে সেটার বদল হতে পারে। জেলার মধ্যে কোনও স্কুলে অতিরিক্ত শিক্ষক থাকলে, প্রাথমিকভাবে তাঁদের পাঠানো হবে সেই জেলারই অন্য কোনও স্কুলে। দেদার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে রাশ টানা হতে পারে এবার।

এ বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, “৩০ জুন অবধি বদলির পোর্টাল উৎসশ্রী বন্ধ। এরমধ্যে যদি শূন্যপদ নিরূপণের কাজটা সঠিকভাবে শেষ হয় এবং নতুন বিধি কার্যকর করার অবস্থায় চলে যায় তা হলে ওই সময়ের পর শূন্যপদ অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারব।”

তবে অনেকেই এই নতুন গাইডলাইনে একটা সংঘাতের আবহ দেখছেন। তাঁদের মত, নতুন গাইডলাইনে ছাত্রদের স্বার্থই মাথায় রাখা হয়েছে। কিন্তু আগের নিয়ম অনুযায়ী একজন শিক্ষক বদলি হওয়ার পাঁচ বছর অবধি আর বদলি হতে পারেন না। এবার কী হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে গাইডলাইন ও বদলি সংক্রান্ত যে নিয়ম তাতে একটা সংঘাতের আবহ তৈরি হতে পারে।

নতুন গাইডলাইনে ডিআইদের হাতে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম, কোথায় বেশি, এ তথ্য ডিআই মারফতই শিক্ষা দফতর পাবে। শিক্ষকমহলে প্রশ্ন উঠছে, এতে ডিআইদের হাতে ক্ষমতা বাড়ল। এখানে বদলিসংক্রান্ত স্বচ্ছতা নিয়ে যাতে প্রশ্ন না ওঠে, তাও নজরে রাখতে হবে। যদিও এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, ‘ছাত্ররা আগামীর ভবিষ্যৎ। শিক্ষকদের নির্দিষ্ট অধিকার থাকলে ছাত্রদেরও শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’ ফলে ছাত্রদের শিক্ষার অধিকারকে শীর্ষে রেখেই বাকি সবটা দেখবে দফতর।