ওঁত পেতে মার্জার, সদ্যোজাত নিয়ে তটস্থ মায়েরা, উদাসীন আর জি কর

 সমস্ত নিয়ম শিকেয় তুলে কীভাবে চলছে এই কাণ্ডকারখানা তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ওঁত পেতে মার্জার, সদ্যোজাত নিয়ে তটস্থ মায়েরা, উদাসীন আর জি কর
নিজস্ব ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2021 | 9:09 PM

কলকাতা: কোলে সদ্যোজাত। পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিড়াল (cat) বাহিনী। বেড নেই। মেঝেতেই বসে দিন কাটাচ্ছেন মায়েরা। টিভি নাইন বাংলার খবরে খাস কলকাতার সরকারি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের এমনই ছবি উঠে এল গোটা শহরের কাছে। মাত্র কয়েক মিনিটের ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে আর জি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

ফু্টেজে দেখা যাচ্ছে, মেঝেতেই চাদর পেতে বিছানা বানিয়েছেন মায়েরা। এক একটি বিছানায় তিন-চারজন করে মহিলা। করোনায় দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে দিয়ে প্রায় গা ঘেঁষেই থাকতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। নেই পর্যাপ্ত বেডও। এরমধ্যেই, মার্জার (cat) বাহিনীর অবাধ বিচরণ। তাদের অতর্কিত আক্রমণে তটস্থ রোগিণীরা। নিজের সন্তানকে বাঁচাতে কখনও হাতে তুলে নিচ্ছেন লাঠি কখনও বা কেবল হাতই সম্বল। বিড়ালের (cat) সঙ্গে এমন সহাবস্থানের ছবিতে প্রশ্নের মুখে আর জি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: বনকর্মী নিয়োগ: আশ্বাস মিললেও চাকরি মেলেনি, আমরণে অনশনে বসলেন বিশ্বদীপ

প্রসূতি বিভাগে সংক্রমণ এড়াতে জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা। নিয়মিত প্রশিক্ষণের নির্দেশ ছাড়াও দিনে অন্তত তিনবার ওয়ার্ড পরিষ্কার করা থেকে শুরু করে খাবারের টানে বিড়াল (cat) না আসার ব্যবস্থা করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নির্দেশিকায়। বেডের বিকল্প হিসেবে ট্রলি ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। করোনা কালে সংক্রমণ রুখতে দুটি বেডের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতে হবে এমনটাই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে নিখোঁজ দীপক পাঁজাকে খুঁজতে হাইকোর্টে মামলা

সমস্ত নিয়ম শিকেয় তুলে কীভাবে চলছে এই কাণ্ডকারখানা তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর জি করের স্ত্রীরোগ বিভাগের এক চিকিৎসকের বক্তব্য, ‘বিড়ালের (cat) উপদ্রব রয়েছে অস্বীকার করছি না। এর থেকে সদ্যেজাতদের সংক্রমণের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান করা যায়নি। প্রতিদিন ৬০-৬৫ জন রোগীকে ভর্তি করতে হলে মেঝেয় রোগী রাখা ছাড়া রাস্তা নেই। মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব করার জন্য বিভাগের তরফে প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে। তা কার্যকর হলে সমস্যার অনেকখানি সুরাহা হবে।’