Interview Scam: শুধু OMR নয়, এবার ইন্টারভিউয়েও ভয়ঙ্কর জালিয়াতির অভিযোগ

Recruitment Scam: এর আগে ওএমআর শিটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে বলা হয়, সব চাকরিতে বেনিয়মের ক্ষেত্রে মিডলম্যান বা দালালদের নিজস্ব ‘কোড’ ছিল।

Interview Scam: শুধু OMR নয়, এবার ইন্টারভিউয়েও ভয়ঙ্কর জালিয়াতির অভিযোগ
চাকরি প্রার্থী কোয়েল দে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2023 | 9:53 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। প্রথমে ওএমআর শিটে (OMR Sheet) জালিয়াতির পর্দা ফাঁস হয়েছিল। দালালদের ‘কোড নম্বর’-এর তথ্য উঠে এসেছিল। এবার সামনে এল ইন্টারভিউয়ে মারাত্মক জালিয়াতির অভিযোগ। এক চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, শুধু ওএমআর শিটে নয়, ‘খেলা’ হয়েছে ইন্টারভিউ বোর্ডেও। চাকরি প্রার্থী কোয়েল দে। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৪। ইন্টারভিউয়ে তিনি পেয়েছেন ৩.৬৬। চাকরি পাননি কোয়েল। এদিকে লিখিত পরীক্ষায় তাঁর থেকে অনেক কম নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউয়ে ১০-এ সাড়ে ৯ পেয়েছেন এমন প্রার্থীও আছে। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত ছেলেখেলা হয়েছে। শুধু সাদা খাতাতেই চাকরি নয়। বহুস্তরীয় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইন্টারভিউয়ের দুর্নীতি সাদা খাতার থেকেও মারাত্মক বলছেন চাকরিপ্রার্থীরাই।

ধরনামঞ্চে বসে থাকা কোয়েল দে বলেন, “লিখিত পরীক্ষায় মোট ৫৫ নম্বরের মধ্যে আমি পেয়েছি ৫৪। ইন্টারভিউয়ে ১০ নম্বরে পেয়েছি ৩.৬৬। অথচ ঠিকমতো উপস্থাপনার জন্যই ৩ থাকে। আর আমাকে ওখানে ৫টা প্রশ্ন করা হয়েছিল। তাহলে ১০-১১ মিনিট ইন্টারভিউ দিয়ে আমি ০.৬৬ নম্বর পেলাম? শুধু ওএমআরেই ম্যানুপুলেশন নয়, ইন্টারভিউয়েও তাই হয়েছে।”

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর –

১. ইন্টারভিউয়ে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ।

২. জোর করে বাড়ানো হয়েছে ইন্টারভিউর নম্বর।

৩. প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ারদের নম্বর দিতে বলা হয়েছিল পেন্সিলে।

৪. এসএসসিতে সাদা নম্বর শিটে সই করতে বলা হয়েছিল ইন্টারভিউয়ারদের। অস্বীকার করে বোর্ড ছেড়ে দেন অনেকে।

৫. প্রাথমিকে অসংখ্য এমন চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যাঁরা অ্যাকাডেমিকসে প্রচুর নম্বর পেয়েছেন কিন্তু ইন্টারভিউয়ে দেওয়া হয়েছে কম নম্বর। আর টাকার জোরে বেড়ে গিয়েছে অন্যদের ইন্টারভিউয়ের নম্বর।

এর আগে ওএমআর শিটে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেখানে বলা হয়, সব চাকরিতে বেনিয়মের ক্ষেত্রে মিডলম্যান বা দালালদের নিজস্ব ‘কোড’ ছিল। কারও কোড যদি ২ হয় এবং ওই দালালকে যদি চাকরিপ্রার্থী টাকা দিয়ে থাকেন, তাহলে চাকরিপ্রার্থী ওএমআর শিটে ২টি গোল করবেন। আবার কোনও এজেন্টের কোড যদি হয় সাদা খাতা। সেক্ষেত্রে ওই দালালকে টাকা দিলে, চাকরিপ্রার্থী সাদা খাতা জমা দিতেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওএমআর শিট রিডার মেশিনে ফেল করলেও সার্ভারে নম্বর বাড়িয়ে পাশ করানো হয়েছে। ওএমআর শিটের হার্ডকপি সংরক্ষণ না হওয়ায় প্রমাণ লোপাট হয়েছে।