SSC: সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও মেলেনি নিয়োগ, এবার নতুন করে ধরনায় চাকরিপ্রার্থীরা
SSC: চাকরিপ্রার্থী তপনকুমার মণ্ডলের কথায়, যেদিন তাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়, সেইদিনই নিয়োগপত্র দিয়ে দিলে এই অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না।
কলকাতা: ইতিমধ্যেই কাউন্সেলিং হয়েছে, পেয়েছেন সুপারিশপত্রও। কিন্তু আদালতে মামলার গেরোয় নিয়োগ পাচ্ছেন না তাঁরা। দ্রুত চাকরির দাবিতে ধরনায় রাস্তায় বসে রয়েছেন শারীরশিক্ষা (Physical Education) ও কর্মশিক্ষার (Work Education) ‘রেকমেন্ডেশনপ্রাপ্ত’ চাকরিপ্রার্থীরা। চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, নভেম্বর মাসে তাঁদের কাউন্সেলিং হয়। ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ পাওয়ার কথা বলা ছিল সুপারিশপত্রে। অথচ চার মাস অতিক্রান্ত, এখনও নিয়োগ পাননি। তাঁদের দাবি, সুপার নিউমেরারি পোস্ট যোগ্যদের জন্য বৈধ হোক এবং যাদের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, দ্রুত তাঁরা যেন স্কুলে যেতে পারেন। এই দাবিকে সামনে রেখে ধরনা অবস্থানে বসেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
এক চাকরিপ্রার্থী শিবানী গুইতি বলেন, “১০-১৬ নভেম্বর আমাদের কাউন্সেলিং হয়। এরপরই আমাদের সুপারিশ দেওয়া হয়। সেই রেকমেন্ডেশনে লেখা ছিল ৬ সপ্তাহের মধ্যে আমাদের নিয়োগ দিতে হবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যেন আমাদের ৬ সপ্তাহের মধ্যে জয়েনিং করিয়ে স্কুলে যেতে পারি। কিন্তু সেটা ৬ সপ্তাহের জায়গায় চার মাস কেটে গেল জটিলতার জন্য। কারণ সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সরকার নিজেই গিয়েছে। চার মাস ধরে শুনানি ডেটের পর ডেট চলছে। আমাদের একটাই বক্তব্য, অন্য কিছু নিয়ে যখন মামলা থাকে তা রাতারাতি মিটে যায়। অথচ যোগ্যদের চাকরির জন্য এত সময় অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে। মেধা অনুযায়ী কাউন্সেলিং হয়েছে। এরপরও এত ঝামেলা। ১৭ মার্চ শুনানি আছে। সেটা যেন অবশ্যই হয়। সুপার নিউমেরারি পোস্টটা যেন বৈধতা পায়। তাহলেই আমরা স্কুলে যোগ দিতে পারে।”
চাকরিপ্রার্থী তপনকুমার মণ্ডলের কথায়, যেদিন তাঁদের সুপারিশপত্র দেওয়া হয়, সেইদিনই নিয়োগপত্র দিয়ে দিলে এই অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। ১২৮০ জন কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সুপারিশ পেয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই সুপারিশের ‘বৈধতা’ ৪২ দিনের ছিল, যা ইতিমধ্যেই পার করে গিয়েছে। এবার তাঁদের কী হবে, প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাই আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ধরনায় বসেছেন বলে তাঁরা দাবি করেন। তপনবাবু বলেন, “সুপার নিউমেরারি পদ নিয়ে সরকার ও কোর্ট উভয়পক্ষের জটিলতা দেখছি। তা কাটানোর অনুরোধ করছি আমরা।”