Bratya Basu: রাজ্যপালের ‘মধ্যরাত’ মন্তব্যে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে কটাক্ষ ব্রাত্যর, ‘রাক্ষস প্রহরের’ অপেক্ষায় শিক্ষামন্ত্রী
Bratya Basu: মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার যে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল দিয়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য। নাম না করে রাজ্যপালকে 'ভ্যাম্পায়ার'-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। লিখেছেন, 'রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর অপেক্ষা করে রয়েছি।'
কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করে শুক্রবার মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য় বসু। রাজ্যপাল যেভাবে কাজ করছেন, তা ‘তুঘলকীয়’ বলে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। আর এরপরই চরম বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস। বলেছেন, ‘কী হয় তা দেখার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ রাজ্যপালের সেই মন্তব্যের পরই পাল্টা টুইট রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার যে হুঁশিয়ারি রাজ্যপাল দিয়েছেন, তা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য। নাম না করে রাজ্যপালকে ‘ভ্যাম্পায়ার’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। লিখেছেন, ‘রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর অপেক্ষা করে রয়েছি।’
টুইটারে ব্রাত্য বসু লিখেছেন, ‘সাবধান, সাবধান, সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে। শহরবাসী নিজেদের খেয়াল রাখুন। ভারতীয় পুরাণ মতে রাক্ষস প্রহরের জন্য অপেক্ষায় আছি।’ খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলছেন, ‘আমার খুব ভয় লাগছে। রাজ্যপাল এত রাত জেগে কাজ করছেন। কোথাও না অসুস্থ হয়ে পড়েন।’
প্রসঙ্গত, বাংলার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমেই চরমে উঠছে। রাজ্যপাল যেভাবে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন, তা নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন। রাজ্যপাল নিজের পছন্দের লোকেদের উপাচার্য করে বসিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ সরকারের।
এমন এক পরিস্থিতিতে গতকাল রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের বৈঠকে ডেকেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু সেখানেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আসেননি। গতকালের বৈঠক শেষে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফের সরব হন শিক্ষামন্ত্রী। রাজভবন থেকে অনেক রেজিস্ট্রারকে বৈঠকে না যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও ক্ষোভ উগরে দেন ব্রাত্য। রাজ্যপালের কাজকর্মকে ‘তুঘলকীয়’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আর এরপরই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ আরও চরমে উঠল।