Monsoon Forecast 2022: কেরলে আগাম হাজিরা বর্ষার, কবে থেকে ভাসবে বাংলা, কী বলছে হাওয়া অফিস

West Bengal Weather Update: ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কেরলে আসার কথা ১ জুন, কলকাতায় ১১ জুন। এ বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে মাত্র ২ বার জুনের আগেই বর্ষা ঢুকেছে কেরলে।

Monsoon Forecast 2022: কেরলে আগাম হাজিরা বর্ষার, কবে থেকে ভাসবে বাংলা, কী বলছে হাওয়া অফিস
মাঝারি থেকে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 29, 2022 | 8:56 PM

কলকাতা: নির্ধারিত সময়ের তিনদিন আগেই কেরলে ঢুকেছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। তবে কি বাংলাতেও আগেভাগে ঢুকে পড়বে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু? নাকি এখনও চিড়বিড়ানি গরমের ভোগান্তিই কপালে নাচছে বঙ্গবাসীর? আবহাওয়া দফতর এখনই বর্ষা নিয়ে বিশেষ আশার খবর শোনাতে পারছে না বাংলাকে। অনেকেরই ধারনা, কেরলে আগে বর্ষা ঢুকে পড়া মানেই এবার বাংলার আকাশেও কালো মেঘের আনাগোনা শুরু হবে। কিন্তু আবহাওয়া দফতর বলছে, এমন কোনও সরল পাটিগণিত মোটেও নেই। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী কেরলে আসার কথা ১ জুন, কলকাতায় ১১ জুন। এ বছর বাদ দিলে গত ১০ বছরে মাত্র ২ বার জুনের আগেই বর্ষা ঢুকেছে কেরলে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মে মাসে বর্ষা এসেছিল। ২০১৭ সালের ৩০ মে, ২০১৮ সালের ২৯ মে। কিন্তু সেই দুই বছর কিন্তু মোটেই সাত তাড়াতাড়ি বাংলায় বর্ষা আসেনি। বরং ২০১৭ সালে ১২ জুন ও ২০১৮ সালে ১১ জুন কলকাতায় বর্ষা আসে।

অঙ্ক কষে যেমন কেরল-বাংলার বর্ষাকে মেলাতে গিয়ে ভাগশেষ পড়ে থাকছে। আরও একটি কারণেও এখনই বাংলায় বর্ষা আসার কোনও সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া দফতর। এই মুহূর্তের যা পরিস্থিতি, কেরলে আগে বর্ষা এলেও মৌসুমি বাতাসের প্রবাহ তেমন শক্তিশালী নয়। কেরল বা তামিলনাড়ুতেও প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা এখনই নেই। আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে বর্ষা উত্তর পূর্বের রাজ্যে ঢুকতে পারে।

কিন্তু তারপর বর্ষার অগ্রগতির সম্ভাবনা তেমন জোরাল নয়। কারণ, বর্ষাকে শক্তিশালী করতে যারা অনুঘটকের কাজ করে সেগুলি এখন অনকূল অবস্থায় নেই। বরং ৯ জুন পর্যন্ত গোটা বাংলাতেই স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির আশা এখন না করাই ভাল। বরং বরাতে অস্বস্তি থাকবেই।

গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে যে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হচ্ছে, আগামী সোমবারের পর সে সম্ভাবনাও কমে আসবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদ সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৩১ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাব কিছুটা কমে যাবে। তবে হালকা বৃষ্টি দু’ এক জায়গায় হতে পারে।” এপ্রিলের মতো দাবদাহ না হলেও, তাপ-আর্দ্রতার জোড়াফলায় ঘামিয়ে নাকাল করার সম্ভাবনা থাকছেই।