Post Poll Clash: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ২১টি ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ নেই, হাইকোর্টে রিপোর্ট সিবিআইয়ের

Post Poll Clash: সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে।

Post Poll Clash: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ২১টি ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ নেই, হাইকোর্টে রিপোর্ট সিবিআইয়ের
হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 4:51 PM

কলকাতা: ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় ২১টি ধর্ষণের অভিযোগ ফিরিয়ে দিল সিবিআই। অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই বলেই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি (NHRC)-এর দাখিল করা রিপোর্টে এই অভিযোগগুলি ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ২১টি যৌন হেনস্তার অভিযোগের কথা। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তে এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।

অর্থাৎ ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর সেই অভিযোগগুলি বাস্তবে ভিত্তিহীন বলেই তদন্তে জানতে পেরেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাদের প্রথম রিপোর্টেই ধর্ষণের মতো গুরুতর ২১টি অভিযোগের সারবত্তা খুঁজে পেল না। নিঃসন্দেহে এই তথ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখেই ভোটের বাংলায় বার বার সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও পাল্টা শাসকদলও দাবি করেছে, অধিকাংশ অভিযোগই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদীত। প্রসঙ্গত, এর আগে সিবিআই যে রিপোর্ট আদালতকে দিয়েছিল তা সম্পূর্ণ ছিল না।

প্রথম যখন এই ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই (CBI) ও স্পেশাল ইনভেন্টিগেশন টিম বা সিটকে (SIT) তদন্তভার দেয়, সেই সময় বলা হয়েছিল যে কোনও ধরনের খুন বা ধর্ষণের বিষয় থাকে তা হলে সেই অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে সিবিআই। বাকি যত ধরনের অভিযোগ তার তদন্ত করবে সিট।

সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন সিবিআইয়ের তরফে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, এই মামলায় ৬৪টি ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে তার মধ্যে ২১টির কোনও তথ্যপ্রমাণ সিবিআই পায়নি। তাই সেগুলি সাধারণ মামলা হিসাবে সিট তদন্ত করবে।

এদিন সিবিআইয়ের রিপোর্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, রাজ্য সরকারের তরফে এর আগে একাধিক বার দাবি করা হয়েছে বহু অভিযোগ তোলা হয়েছে যেগুলি মিথ্যা, যার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই, সাজানো। রাজ্য দাবি করেছিল, এমন অনেক অভিযোগ আসে যেগুলি খতিয়ে দেখার পর জানা যায় সেগুলি একেবারেই ধর্ষণের ঘটনা নয়। সোমবার সিবিআইয়ের পক্ষ থেকেও সেই একই বিষয়টি বলা হল ২১টি অভিযোগের ক্ষেত্রে। সেগুলি সিটকে হস্তান্তরও করেছে সিবিআই।

সোমবার মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় সিটও। ৬৮৯টি মামলার মধ্যে ১০টি মামলা বাদ দিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি দশটির রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে আগামী এক মাসের মধ্যে। একইসঙ্গে ১০টি মামলার তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা পড়েছে। বাকি ৩৮টির তদন্ত চলছে। সিটের পক্ষ থেকে ৫৭৩টি কেসের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। সিটকে আগামী শুনানির দিন বাকি কেসের তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পাতার রিপোর্ট দিয়েছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেখানে অসংখ্য অভিযোগ তোলা হয়। “রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসকের ইচ্ছাই এখানে আইন”, এমনও রিপোর্টে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন।

সোমবার সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াই জে দস্তুর ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় রিপোর্ট পেশ করেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী ৫২টি খুন বা অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগের তদন্তে নামে সিবিআই। এর মধ্যে ১০টির পূর্ণাঙ্গ চার্জশিট জমা দিয়েছে। ৩৮ মামলার সিবিআই তদন্ত চলছে। সোমবার ২টি মামলা সিটের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: Post Poll Clash: সিবিআই চাইলে সিট মামলা হস্তান্তর করুক, আদালতে আর্জি সিবিআইয়ের আইনজীবীর