SSC Scam: ২ দিনের সিবিআই হেফাজতে প্রসন্ন রায়, এই পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ই কি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড় এনে দেবে?
SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আপাতত গারদের পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের জালে পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রসন্নকুমার রায়।

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রসন্নকুমার রায়কে দু’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সোমবার ফের সিবিআই আদালতে পেশ করতে হবে তাঁকে। তদন্তে উঠে এসেছে, এই প্রসন্ন রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুক্রবারই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শনিবার তদন্ত নতুন মোড় নেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে প্রসন্নকে ঘিরে। জানা যায়, এক সময় রঙের মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন তিনি।
সিবিআই সূত্রে খবর, এখন তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকেও চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে এসেছে বলে অভিযোগ। দিঘা, উত্তরবঙ্গ, জঙ্গলমহলে একাধিক বিলাসবহুল রিসর্টের সঙ্গে প্রসন্ন-যোগ মিলেছে। সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছে, উত্তরবঙ্গের চা বাগানও। সিবিআই সূত্রে খবর, রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে প্রসন্ন রায়ের। তাঁর জীবনে পরশ পাথরটি কে, এখন সেটাই জানতে চাইছে তদন্তকারীরা।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আপাতত গারদের পিছনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার সিবিআইয়ের জালে পার্থ ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত প্রসন্নকুমার রায়। গোয়েন্দাদের দাবি, চাকরি চুরির যে অভিযোগ, সেই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত এই ব্যক্তি। এমনও সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মূল চক্রীদের ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করতেন প্রসন্ন।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, মিডলম্যান তো রাজ্যজুড়েই ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু বাকিদের সঙ্গে পার্থক্য রয়েছে প্রসন্নর। সিবিআই সূত্রে খবর, সরাসরি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। এমনকী দুই পরিবারের সম্পর্ক আছে। পার্থর বাড়িতেও প্রসন্নর যাতায়াত ছিল বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি গ্রেফতার হন প্রদীপ সিং। তাঁকে জেরা করেই এই প্রসন্নর নাম উঠে আসে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। গত বৃহস্পতিবার তাঁর সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিসে হানা দেয় গোয়েন্দারা। এরপরই গ্রেফতারি।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসন্নর জিডি ৫৩ অফিস থেকে একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে। এসএসসি সংক্রান্তও নানা নথি পাওয়া যায়। এমনও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সারাদিন গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা চলত প্রসন্নর। দিন গড়ালেই চলত চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলা। এমনও জানা গিয়েছে, নিজের অফিসে বসেই উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। হাতে থাকা চাকরি প্রার্থীদের তালিকা ধরে ধরে চলত ‘ডিল’। প্রদীপ-সহ একাধিক সাব-ডিলারদের মাধ্যমে সেই টাকা প্রসন্নর অফিসে পৌঁছত বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। যদিও সমস্ত বিষয়ই তদন্তসাপেক্ষ।





