Body Recover: স্ত্রী ছিল না বাড়িতে, পর্দার আড়াল থেকে যুবকের কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত পড়শিরা
Baguiati: দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কী।
কলকাতা: বেশ কিছুদিন বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। রঘুনাথপুরের বাড়িতে একাই থাকতেন পেশায় অটো চালক রন্টু সরকার। এরইমধ্যে রবিবার সকাল থেকে চরম দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকায়। কয়েকজন রন্টুর বাড়িতে উঁকি মারতেই ছিটকে যান ভয়ানক দৃশ্য দেখে। ঘরের ভিতর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর। দেহটি পচে গলে গিয়েছে। নিছক আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ। বাগুইআটির সুকান্তপল্লি এলাকায় বাড়ি রন্টুর। স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে বাড়িতে মা, স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন রন্টু। স্থানীয়দের দাবি, মায়ের মৃত্যুর পর স্ত্রীর সঙ্গেও প্রায়শই তাঁর ঝামেলা হত। এরপরই স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সুকান্তপল্লির এক চিলতে ঘরে একাই থাকতেন ওই যুবক। বাড়ির ছাদ টিনের, ঘর ঘেরা দরমার দেওয়ালে। বাড়ির কোনও গেট নেই। একটি দরজা, তাও খোলা। কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢাকা থাকত সবসময়। বাগুইআটি উল্টোডাঙা রুটে অটো চালিয়ে পেট চলত রন্টুর।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে রন্টুকে দেখা যায়নি। রবিবার সকালে পচা গন্ধ নাকে যেতেই তাঁর বাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন পাড়ার লোকজন। স্থানীয়দের দাবি, এর আগে একাধিকবার রন্টুর বাড়ির পিছনে কুকুর মরা উদ্ধার হয়েছে। এদিনও তাঁরা ভেবেছিলেন, কোনও কুকুরই বুঝি মরে পড়ে রয়েছে। তা থেকেই এই বোঁটকা গন্ধ আসছে। কিন্তু এরইমধ্যে একজন রন্টুর ঘরের পর্দা সরাতেই বীভৎস দৃশ্য দেখতে পান। শুরু হয় চিৎকার চেঁচামেচি। খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়।
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ কী। এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। পুলিশ তাঁর রুটের অন্যান্য অটোচালকের সঙ্গেও কথা বলবে। কতদিন ধরে রন্টু কাজে যাননি বা রন্টুর কোনও আচরণে তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল কি না সবটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কারও সঙ্গে রন্টুর ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।