CPIM Corruption : ‘কোনও ছেলে হোলটাইমার হলে তাঁর বউকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো’, বাম দুর্নীতি নিয়ে অকপট প্রাক্তন ‘কমরেড’ রেজ্জাক

CPIM Corruption : টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পুরোনো দল নিয়ে একরাশ অভিমানও ঝরে পড়ল রেজ্জাকের গলায়। সেই সঙ্গেও তৃণমূল নিয়েও খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন।

CPIM Corruption : ‘কোনও ছেলে হোলটাইমার হলে তাঁর বউকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো’, বাম দুর্নীতি নিয়ে অকপট প্রাক্তন ‘কমরেড’ রেজ্জাক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 24, 2023 | 12:01 AM

কলকাতা : বাম আমলে নিয়োগ দুর্নীতির ময়নাতদন্ত শুরু করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শীঘ্রই সামনে আসবে বামেদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র, বলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু। পঞ্চায়েত ভোটের আগেই দেখা যাবে সেই তালিকা, বলেছেন শ্বেতমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। চাকরি সুপারিশে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা। ‘সব পাপ সিপিএম (CPIM) জমানা থেকে শুরু’, এ কথা বলছেন তৃণমূল মুখপাত্র তথা দলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এককালে দাপটের সঙ্গে এই তৃণমূলই করতেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। উঠে এসেছিলেন কৃষক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। যদিও রাজ্যে পালাবদলের পর চলে গিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এবার সেই রেজ্জাই বলছেন। হ্যাঁ, হয়েছিল দুর্নীতি। কোনও ছেলে পার্টির হোলটাইমার হলে তাঁর বউকে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো বাম জমানায়।

টিভি-৯ বাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে পুরোনো দল নিয়ে একরাশ অভিমানও ঝরে পড়ল রেজ্জাকের গলায়। সেই সঙ্গেও তৃণমূল নিয়েও খানিক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। বললেন, “এককালে, মানে ২০১১ সালের আগে সিপিএম পার্টিটা ছিল আন্দোলন নির্ভর, সংগঠন নির্ভর। তারপর আস্তে আস্তে দেখলাম সরকার নির্ভর হয়ে যাচ্ছে। তখন থেকেই আমি শুরু করলাম সরে আসতে।” কিন্তু, এত বিতর্ক, এত জল্পনার মধ্য়ে প্রশ্ন তো একটাই সাদা জামা, সাদা পাঞ্জাবির বাম নেতাদের দুর্নীতির কালো দাগ কী লেগেছিল? 

উত্তর দিতে গিয়ে ফিরে গেলেন স্মৃতির পাতায়। তারপর খানিক ভাবুক চোখে রেজ্জাক বললেন, “বাম আমলে শিক্ষায় এত দুর্নীতি ছিল না। তবে ওদের চাকরি-টাকরির ব্যাপারে একটা ব্যাপার ছিল। কোনও ছেলেকে যদি হোলটাইমার করা হতো তখন ওর বউকে বা নিকট আত্মীয়কে চাকরি দেওয়ার চেষ্টা হতো।  আমাদের জেলায় অন্তত এই চেষ্টা হয়েছিল সেটা আমি জানি। তখন আমার মনে হয়েছিল এটা ঠিক। একটা বুদ্ধিমান ছেলে হোলটাইমার হয়ে মাসে ২-৩ হাজার পাবে তাতে তো তার সংসার চলবে না। কাজেই সেখানে বিকল্প হিসাবে তাঁর নিকট আত্মীয় বা স্ত্রীকে চাকরি দিলে একটা সুরাহা হতো।” যদিও বর্তমানে তাঁর বর্তমান দল তৃণমূলের সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ নেই তাঁর। উল্টে পুরনো কমরেডরা যে এখনও খোঁজ নেন সে কথা অকপটেই বললেন তিনি। খানিক অভিমান মিশ্রিত কণ্ঠে বলতে লাগলেন, “এখন যে পার্টি আমি করি সেই তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ২০১৬ সালে ভাঙড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছিলাম। কিন্তু, আমার বাড়ি ক্যানিং পূর্বের দিকে, আর ভাঙড় অনেক দূর। তাই দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কথাবার্তা বলা এখন সম্ভব নয়। ওরাও খুব একটা আসে না। তবে বামফ্রন্ট আমলের কর্মীরা রোজই যোগাযোগ রাখে। দেখা করে যায়। নানা পরামর্শ চায়।”