ইসলামি আন্দোলনের নেতা আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, “৫৩ বছর যারা দেশ শাসন করেছে, তাদের কেউই জনগণকে চোর ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দিতে পারেনি। বিএনপির শাসনে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আবার আওয়ামি লীগের শাসনকালে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এরা সবাই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। ৫ আগস্টের আগে যে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি ছিল, তা এখনও বন্ধ হয়নি। ঘুষ ও দুর্নীতির পরিবর্তন হয়নি, শুধু লোকের পরিবর্তন হয়েছে।”
বিস্তারিত পডুন: ‘এক চোরকে সরিয়ে আর এক চোরকে এনেছি!’, ইউনূসকে সোজাসুজি আক্রমণ মুফতির
বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হাসিনা লিখেছেন, “জাতির এক গভীর সংকটময় মুহূর্তে এ বছর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হচ্ছে। স্বাধীনতা-বিরোধী এবং বুদ্ধিজীবী নিধনকারীদের দোসররা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচিত আওয়ামি লীগ সরকারকে হটিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সাধারণ মানুষের উপর অমানবিক নিপীড়ন- নির্যাতন চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে জামাতে ইসলামীসহ ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিকে পুনর্বাসন করছে। পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন ধ্বংস করেছে। প্রিয় দেশকে জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির এসব অপকর্ম বীর বাঙালি কোনদিন মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না। এদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত এবং শান্তি কামনা করছি।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘জঙ্গিদের উর্বর লীলাভূমিতে পরিণত করছে দেশকে’
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আজ ১৪ ডিসেম্বর, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর, আল-শামস বাহিনী বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষলগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আল-বদর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল ঢাকার মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর বাহিনীর ক্যাম্পে। ১৪ ডিসেম্বরে নির্মম অত্যাচার করে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়।”
ওপার বাংলায় শিক্ষাব্যবস্থার দুরাবস্থা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বাংলাদেশের নামী লেখক-অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেন, “মূর্খ লোক দিয়ে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চলবে? একটা ইংরেজি শব্দের বাংলা করতে পারে না। আমাদের দেশে কোনও উচ্চশিক্ষা নেই। উচ্চশিক্ষা থাকলে এরকম অশিক্ষা-কুশিক্ষা হয়? অশিক্ষা ভাল, কুশিক্ষার থেকে। এক অন্ধ আমাদের মতো হাজার হাজার অন্ধকে পথ দেখাচ্ছে। আর আমরা গর্তে পড়ছি।”
বিস্তারিত পড়ুন: ‘এক অন্ধ আমাদের মতো হাজার হাজার অন্ধকে পথ দেখাচ্ছে’, ইউনূসের মুখোশ খুলে দিলেন সে দেশেরই লেখক
২০২০ সালের ১০ মার্চ ‘জয় বাংলা’কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় হাইকোর্ট। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তারপরও অলি-গলি ভরে গিয়েছে স্লোগানে।
বিস্তারিত পড়ুন: দেওয়ালে দেওয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, এবার কি খেলা ঘুরছে ইউনূসের বাংলাদেশে!
জটিল দুরারোগ্য ব্যধির চিকিৎসা হোক বা সাধারণ চেকআপ, বহু বাংলাদেশিরাই ভারতে আসেন চিকিৎসা করতে। তবে বর্তমানের পরিস্থিতি আলাদা। অশান্ত বাংলাদেশ দিয়েছে ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক। এদিকে ভারতীয় ভিসাও বন্ধ। নিয়মের কড়াকড়িতে বহু বাংলাদেশিই ভারতে আসতে পারছেন না। এরই মধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য বিএনপি নেতার। জবাব দিলেন ভারতীয় চিকিৎসকরাও।
বিস্তারিত পড়ুন: থোতা মুখ ভোঁতা বাংলাদেশিদের, হিসেব কষে দেখিয়ে দিলেন ভারতীয় ডাক্তারবাবুরা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাংলাদেশি নেতাদের হুমকির ভিডিয়ো। একটি ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে ভারতীয়দের লাথ মেরে তাড়ানোর হুমকি দিচ্ছেন তারেক রহমান। ভারতের বিরুদ্ধে হিংসা, ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “রাঙামাটি থেকে সিলেট পর্যন্ত ৪৫ কিমি রাস্তা ভারত আমাদের দেয়নি। ৪০০ কিমি ঘুরে যেতে হয়। তাহলে ভারতকে ১৫০০ কিমি বাঁচানোর জন্য ৪০০ কিমি ট্রানজিট দেওয়া হল?”
বিস্তারিত পড়ুন: ভারতীয়দের লাথি মেরে তাড়ানোর হুমকি তারেক রহমানের! ঔদ্ধত্য বেড়েই চলেছে বাংলাদেশের
বাংলাদেশে অগ্নিমূল্য রান্নার তেল। বাজারে পাওয়াও যাচ্ছে না সয়াবিন তেল। যেটুকু তেল মিলছে, তার জন্যও গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত গ্যাঁটের কড়ি।
হিন্দুদের উপর লাগাতার নিপীড়নের অভিযোগ তো ছিলই, এবার চর্চায় বাংলাদেশের খ্রিস্টানরা। হিন্দুদের পর এবার সে দেশের খ্রিস্টানদের জন্য নয়া ফতোয়া বাংলাদেশের। বিস্তারিত পড়ুন- শুধুই নয় হিন্দু, এবার বাংলাদেশে ‘টার্গেট’ খ্রিস্টানরাও?
বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রাম আদালতে শোনা হল না জেলবন্দি চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন শুনানি এগনোর আর্জি। শুরু থেকেই চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর আইনজীবী জামিন সওয়ালের আপ্রাণ চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত কট্টরপন্থী আইনজীবী ও জজ সাহেবের তোলা অদ্ভুত দাবির মুখে আজকের মতো রণে ভঙ্গ দেন।
চার মাস হয়ে গেল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলাও হয়েছে। এবার আরও বাড়তে চলেছে চাপ। তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে তাঁর ও তাঁর বোনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ডিটেলসও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখতেই এমনটা করা হচ্ছে বলে খবর।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ইমনকল্যাণ লাহিড়িকে। বাংলাদেশের পিছনে বাংলাদেশ পাকিস্তানের ছায়া দেখছেন তিনি। টিভি৯ বাংলায় এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “পাকিস্তান-চিনের মতো বহিরাগত শক্তির মদতে যুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা হচ্ছে ওদিকে। আমরা যাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করি সেটা অনেকে চাইছে। ওরা চায় যুদ্ধ তিন-চার বছর চলুক। আর ভারতের দু’দিকে পাকিস্তান হয়ে যাবে।”
বাংলাদেশের সনাতনীদের উপর আক্রমণ ও কট্টরপন্থীদের লাগাতার হুমিক মধ্যে সীমান্তে নতুন করে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসএফ। আঁটোসাঁটো করা হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যে সমস্ত এলাকায় এখনও কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখানে বেড়া বসানোর কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে টহল।
ফের একবার বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিয়ে সুর চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কেন্দ্রকেও মনে করান ‘দায়িত্ব’। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে মমতা বলেন, “এটা ভারত সরকারের ব্যাপার। আমরা চাই ওরা হিন্দুদের রক্ষা করুক। বিরোধী দল এখানে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিচ্ছে। দায়িত্ব নিয়ে দায়িত্ববান বিরোধী দলের পরিচয় দিচ্ছে।”
ঢাকা থেকে ভারত সীমান্তের দিকে লংমার্চ করল বিএনপির তিন সংগঠনের। ব্রাহ্মণবেড়িয়ার আখাউড়ায় ভাকত সীমান্তের দিকে চলল লংমার্চ। লংমার্চ শুরুর পর বিএনপি নেতা রহুল রিজভিকে ফের একবার সুর চড়াতে দেখা যায়। কার্যত হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা কিনেছি। ওই স্বাধীনতা আবার বিক্রি করে দেব? আমরা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করব না।”
কলকাতা: আগের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে ১ মাস। এদিন ফের চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন এগিয়ে আনার আবেদন জানানো হয়েছিল চট্টগ্রাম আদালতে। সেই আবেদনও শেষ পর্যন্ত খারিজ হয়ে গিয়েছে। এদিকে ভারত বিদ্বেষ আঁচ ক্রমেই যেন আরও গনগনে হচ্ছে ওপার বাংলার মাটিতে। কট্টরপন্থীদের দিক থেকে রোজই ধেয়ে আসছে নিত্যনতুন আক্রমণ। পাল্টা প্রতিরোধের বার্তা যাচ্ছে ভারতের দিক থেকেও। সবমিলিয়ে বিগত কয়েকদিনে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের বিদ্বেষের জল শেষ পর্যন্ত কোনদিকে যায়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কই বা শেষ পর্যন্ত কেমন দাঁড়ায়, সে দিকে নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেরও।