Bratya Basu: যোগ্য বঞ্চিতদের পাশে মানবিকভাবে-রাজনৈতিকভাবে থাকব, মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন: ব্রাত্য
Bratya Basu: একই ইস্যুতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি আবার বলেন, “আইনি ব্যাখ্যা না নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারব না। প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।”

কলকাতা: ‘মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব, ভরসা রাখুন’, চাকরিহারাদের প্রসঙ্গ উঠতেই এদিন বারবার এ কথাই শোনা গেল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মুখে। বারবার বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এক খোঁচায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মীর চাকরি যেতেই তড়িঘড়ি প্রশাসনের উপর মহলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ডাকেন ব্রাত্যকেও। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন সে কথাও বলেন। তুলোধনা করেন বিরোধীদের। এদিনও ব্রাত্য বললেন, “গতকালই মুখ্যমন্ত্রী এটা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। বিশদে অনেককিছু বলেছেন। আমার আর কিছু বলার পরিসর আছে বলে মনে করি না।” সঙ্গে এও বলেন, “আমি আমার বিভাগীয় দায়িত্ব থেকে বলতে পারি মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন যাঁরা বঞ্চিত এবং যোগ্য তাঁদের পাশে আমরা সর্বতভাবে থাকব। মানবিকভাবে থাকব, রাজনৈতিকভাবেও থাকব।”
প্রসঙ্গত, একই ইস্যুতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি আবার বলেন, “আইনি ব্যাখ্যা না নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারব না। প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।” যদিও ব্রাত্য বলছেন, এসএসসি তাঁদের কাছে কোনও সাহায্য চাইলে তাঁরা করতে প্রস্তুত। কিন্তু, সব সাহায্যেই করা হবে আইনি পরামর্শ নিয়ে। তিনি বলেন, “যাঁরা যোগ্য এবং বঞ্চিত তাঁদের জন্য একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে সব তরফ থেকে বের হয় আমি সেই আবেদনও এই সূত্রে করব। রিভিউ পিটিশনের মতো টেকনিক্যাল, লিগ্যাল বিষয়গুলি এসএসসি-র ব্যাপার। ওরা ওদের মতো আইনি প্রক্রিয়ায় করবে। যদি আমাদের কাছে আইনি সাহায্য চায় তাহলে আমরা এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই দেব। কিন্তু আইনি সাহায্য নিয়েই দেব।” একদম শেষে ফের একবার বললেন, “আমি সমস্ত শিক্ষককে বলব মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যখ্যা দিয়েছেন তার উপর ভরসা রাখুন।”
অন্যদিকে এদিনই চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশ ভবন অভিযানে নেমেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একটা বড় অংশ। সেখান থেকেই গর্জে উঠলেন এক বিক্ষোভকারী। সুর চড়িয়েই বললেন, “রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাতেই এই পৃথকীকরণ সম্ভব হয়নি। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টকে এই রায় দিতে হয়েছে। এই রায়ের কারণে অসংখ্য শিক্ষকের জীবন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে। রাজ্য সরকারকে এর পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নিতে হবে। যোগ্যদের পুর্নবহাল করা না পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।”





