দেখে কে বলবেন উনি একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়?

এক সুঠাম চেহারার মানুষ হাফ প্যান্ট আর একটি সাধারণ টি শার্ট পরে ভারি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। মুখে মাস্ক। এক ঝলকে দেখে মনে হবে আর ৫টা সাধারণ মানুষের মত তিনিও একজন। কিন্তু তিনি তো উৎপল চট্টোপাধ্যায়।

দেখে কে বলবেন উনি একজন আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়?
মানুষের পাশে উৎপল
Follow Us:
| Updated on: Jun 17, 2021 | 12:23 PM

কলকাতাঃ শহর জেরবার। একদিকে কোভিড(COVID19) কাঁটা। আর অন্যদিকে লক ডাউন(LOCK DOWN)। আর গোটা বাংলা ধরলেন জুড়বে ইয়াসের(YAAS) ক্ষয়ক্ষতি। এই শহরে কোভিড আতঙ্ক রয়েছে। কিন্তু সেই আতঙ্ককে কোনওমতে বাঁচিয়ে ইয়াস বিধ্বস্তদের পাশে নিজেদের সামর্থ্য মত দাঁড়াচ্ছে এই শহরের মানুষজন। এবার তাঁদের পাশে উদয়ের পথে। আগামি শনিবার তাঁর ত্রাণ পৌঁছে দিতে যাবেন ইয়াস বিধ্বস্তদের কাছে। তারজন্য চলছে জোগাড়।

সেই উদ্যোগে এবার সামিল সমাজেের বিশিষ্টরাও। সে তো এরকম অনেক উদ্যোগেই সামিল হন বিশিষ্টরা।  সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাতে হাতে কাজ করেন তাঁরা। যাদের মধ্যে অনেকেই আছেন স্রেফ প্রচারের জন্য নয় বা রাজনীতির ফায়দা লোটার জন্য এগিয়ে আসেন না। এরকমই একজন  আক্ষরিক অর্থেই কাজ করতে ভালবাসেন লাইমলাইটের আড়ালে। ক্রিকেটার যখন ছিলেন তখনও। তিনি উৎপল চট্টোপাধ্যায়(UTPAL CHATTERJEE)। উত্তর কলকাতার হেঁদুয়া মোডে়র সামনে এখন চরম ব্যস্ততা। উদয়ের পথে এবার ইয়াস বিধ্বস্তদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী। সেখানে এক সুঠাম চেহারার মানুষ হাফ প্যান্ট আর একটি সাধারণ টি শার্ট পরে ভারি ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন রাস্তার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। মুখে মাস্ক। এক ঝলকে দেখে মনে হবে আর ৫টা সাধারণ মানুষের মত তিনিও একজন। কিন্তু তিনি তো উৎপল চট্টোপাধ্যায়। বাংলার রঞ্জিজয়ী (RANJI TROPHY)দলের অন্যতম সদস্য। ভারতের জার্সিতে খেলেছেন আন্তর্জাতিক ম্যাচও। বাংলা ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্পিনার উৎপল বরাবরই প্রচার বিমুখ।সে তিনি ক্রিকেটে সাফল্য পান কিংবা মানুষের জন্য কাজ করুন। তিনি বরাবর এমনই।

আগামি ১৯ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবা থানার অন্তর্গত পাখিরালা রুস্তম মোডে় ইয়াস বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাবে উদয়ের পথে। তারজন্য এখন প্রতিদিন হেঁদুয়া  মোড়ে তাঁদের কার্যালয়ের সামনে চরম ব্যস্ততা। কাজের দেখভালের জন্য গুরু দায়িত্ব রয়েছে উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের উপর। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজও করছেন। নির্দেশও দিচ্ছেন। রোজ রাত সাড়ে ৯টা অবধি ত্রানের সামগ্রী জোগাড় করার কাজ সেরে বাড়ি যাচ্ছেন উৎপল। বাড়ি যাওয়ার আগে বাকিদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন পরের দিনের পরিকল্পনাও।  উত্তর কলকাতা উদয়ের পথের মানুষজন ময়দানের ডেভিডের এই ‘অলআউট’ এগিয়ে আসাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু উৎপল অবশ্য নির্বিকার। মানুষের এটাই কাজ হওয়া উচিত। যখন অন্য মানুষ বিপন্ন হয়। এটাই বাংলার কিংবদন্তী স্পিনারের দর্নশ।

করোনায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে TV9 বাংলার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে উদয়ের পথে। বহু মানুষ উপকৃতও হয়েছে সেই উদ্যোগে। এবার ইয়াস বিধ্বস্তদের পাশে তাঁরাা।