Panchayat Election: পাহাড়ে জনপ্রতিনিধি পিছু বাড়বে ভোটার সংখ্যা, বিধানসভায় কাল পেশ সংশোধনী বিল
Panchayat Election: অল্প ভোটার পিছু জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হলে তাতে বুথের সংখ্যা বাড়ে। ফলে অতিরিক্ত বুথের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যালট পেপার বেশি লাগে, তেমনই ভোট প্রক্রিয়ার জন্য কর্মীও সংখ্যায় বেশি লাগবে।
বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত ইলেকশন (সংশোধনী) বিল ২০২২ আসবে বিধানসভায়। এই বিল আদতে পাহাড়ের পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতির অঙ্গ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সেই বিলে উল্লেখ থাকবে দার্জিলিং আর কালিম্পং জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি আসন পিছু কত ভোটার থাকবে। সংশোধনী বিলে বলা হচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০০ জন ভোটার পিছু একজন জনপ্রতিনিধি থাকবেন। অর্থাৎ ৭০১ জন ভোটার হলেই আরেকজন জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন পড়বে।
পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, এতদিন পাহাড়ি এলাকায় ২৫০ জন ভোটার পিছু একজন জনপ্রতিনিধি থাকতেন। এবার তা বাড়িয়ে ৭০০ জন ভোটার পিছু করা হচ্ছে।
কেন এই পরিবর্তন করা হচ্ছে?
পঞ্চায়েত দফতর আর রাজ্য নির্বাচন কমিশন আলোচনায় উঠে এসেছে যে, ২৫০ জন ভোটার পিছু একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা হলে তাতে ভোট প্রক্রিয়ায় আর্থিক খরচ বাড়বে।
কেন বাড়বে আর্থিক খরচ?
অল্প ভোটার পিছু জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা হলে তাতে বুথের সংখ্যা বাড়ে। ফলে অতিরিক্ত বুথের প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে ব্যালট পেপার বেশি লাগে, তেমনই ভোট প্রক্রিয়ার জন্য কর্মীও সংখ্যায় বেশি লাগবে। এছাড়া ভোটের সময়ে অতিরিক্ত গাড়ি লাগবে। সব মিলিয়ে ভোটের খরচ বেড়ে যাবে বলেই মনে করা হয়। পঞ্চায়েত দফতর ও কমিশনের বৈঠকে এই বিষয়টি উঠে এসেছিল। এছাড়া বৈঠকে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, রাজ্যের বর্তমান জন ঘনত্ব অনুসারে এত কম ভোটার পিছু জন প্রতিনিধি নির্বাচন অর্থহীন।
তবে শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নয়, ভোটার সংখ্যার হারে জনপ্রতিনিধিত্বের বদল আসছে পাহাড়ের পঞ্চায়েত সমিতির স্তরেও। সেখানে এতদিন ২০০০ ভোটার পিছু একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ ছিল। এবার তা বেড়ে হবে ৩০০০ ভোটার। ৩০০১ হলে আরেকজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন পাহাড়ি এলাকার পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে। ২০০৭ সালে রাজ্যের অন্যত্র ভোটার পিছু জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বদল হলেও পাহাড়ে তা করা হয়নি। অবশেষে সেখানেও বদল আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সংখ্যার নিরিখে বিল পাশ হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। তারপরে আসন পুনর্বিন্যাস হবে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে আসন সংরক্ষণ করা হবে, আর তা শেষের পরেই ভোটের দিনক্ষণ স্পষ্ট হবে বলে মত রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের কর্তাদের অনেকের। এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ বলছেন, ভোট যদি না হত, তাহলে এই বিল আনার কোনও প্রয়োজন পড়ত না।