Karya: হাতে মোবাইল থাকলেই রোজগার, গ্রামান্তরে পথ দেখাচ্ছেন ২৭ বছরের মানু চোপড়া

Karya: বেঙ্গালুরুর এক ছোট্ট গ্রামের মেয়ে প্রীতি আসলে দুনিয়া জোড়া এক কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে গিয়েছেন। আর তাতেই ক্রমে বদলে যাচ্ছে তাঁর জীবনটা। 'কার্য' নামে এক স্টার্ট আপ সংস্থা তাঁকে এক বিশেষ কাজে নিয়োগ করেছে।

Karya: হাতে মোবাইল থাকলেই রোজগার, গ্রামান্তরে পথ দেখাচ্ছেন ২৭ বছরের মানু চোপড়া
কার্য- সংস্থায় কর্মরত এক মহিলাImage Credit source: Official Website
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2023 | 6:32 AM

বেঙ্গালুরু: আগারা গ্রামে শান্ত পথের পাশে ছোট্ট একটি বাড়ি। চারপাশে ধানক্ষেত। সামনে সেলাই মেশিন নিয়ে সেখানে বসে আছেন প্রীতি নামে এক যুবতী। মেশিনে সেলাই করে দিনে ৬০-৭০ টাকা রোজগার হয় কোনও ক্রমে। তবে সম্প্রতি তাঁর জীবনটা বদলে গিয়েছে। এখন আর শুধু সেলাই করেন না তিনি। দেখা যাবে, মাঝে মধ্যে সামনে রাখা ফোনে কন্নড় ভাষায় একেকটি বাক্য রেকর্ড করে রাখছেন তিনি। থেমে থেমে একেকটি বাক্য পড়ছেন।

বেঙ্গালুরুর এক ছোট্ট গ্রামের মেয়ে প্রীতি আসলে দুনিয়া জোড়া এক কর্মযজ্ঞে সামিল হয়ে গিয়েছেন। আর তাতেই ক্রমে বদলে যাচ্ছে তাঁর জীবনটা। ‘কার্য’ নামে এক স্টার্ট আপ সংস্থা তাঁকে এক বিশেষ কাজে নিয়োগ করেছে। ওই সংস্থার কাজ হল, ভারতের আঞ্চলিক ভাষাগুলির লেখা ও ওই ভাষা বলা হচ্ছে এমন কন্ঠস্বর সংগ্রহ করা। বর্তমানে ভারত, কেনিয়া ও ফিলিপিন্সে কাজ করছে এই সংস্থা। তার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছেন প্রীতি। তার জন্য পাচ্ছেন যথেষ্ট পারিশ্রমিক।

মাত্র তিন দিন কাজ করে প্রীতি পেয়েছেন সাড়ে ৪ হাজার টাকা। যে টাকা হয়ত গোটা মাসেও পাওয়া সম্ভব হত না তাঁর পক্ষে। তিনি জানিয়েছেন, একটা ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন শুধু। তা দিয়েই রোজগার করছেন তিনি।

আসলে এই ‘কার্য’ নামে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন মানু চোপড়া নামে ২৭ বছরের এক যুবক। তাঁর লক্ষ্য শুধুমাত্র ডেটা জোগান দেওয়া নয়, গ্রামাঞ্চলের মানুষকে সাহায্যও করতে চান তিনি। স্ট্যানফোর্ড থেকে তিনি একটি বৃত্তি পেয়েছিলেন। তাতেই কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে সিলিকন ভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সংস্থার মোড় ঘুরে গিয়েছে। এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বহু মানুষ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন।