Cyber fraud: সবজি বিক্রেতা থেকে সরাসরি হ্যাকার হয়ে ৬ মাসে ‘লাভ’ ২১ কোটি টাকা, কীভাবে জানেন?

Vegetable vendor turns cyber fraud: বছর ২৭-এর ঋষভ শর্মা বাড়ির অদূরেই সবজি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। করোনা মহামারীর সময় ব্যবসায় তাঁর প্রচণ্ড লোকসান হয়। সংসার চালাতে একেবারে হিমশিম খেয়ে যান তিনি। সেই সময় এক পুরানো বন্ধুর সঙ্গে নতুন এক ব্যবসার বিষয়ে কথা হয় ঋষভের। তারপর সেই বন্ধুর সঙ্গে প্রথমে বাড়িতে বসেই কাজ শুরু করেন ঋষভ।

Cyber fraud: সবজি বিক্রেতা থেকে সরাসরি হ্যাকার হয়ে ৬ মাসে 'লাভ' ২১ কোটি টাকা, কীভাবে জানেন?
সবজি বিক্রেতা থেকে সাইবার প্রতারক। প্রতীকী ছবি।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 8:17 PM

নয়া দিল্লি: সবজি-বিক্রেতা (Vegetable vendor) থেকে রাতারাতি কোটিপতি (Crorepati)। মাত্র ৬ মাসে আয় হয়েছে ২১ কোটি টাকা। স্বাভাবিকভাবেই গোয়েন্দাদের নজরে উঠে আসেন ফরিদাবাদের বাসিন্দা ঋষভ শর্মা। শুধু গোয়েন্দাদের নজরে পড়া নয়, একেবারে দেশের ১০টি রাজ্যের বড়-বড় ৩৭টি প্রতারণা মামলা ও ৮৫৫টি অন্য দুর্নীতির মধ্যে উঠে এসেছে ফরিদাবাদের (Faridabad) এই যুবকের নাম। গ্রেফতারও হয়েছেন তিনি। বছর ২৭-এর ঋষভ শর্মার গ্রেফতারি পিছনে অবশ্যই বিশেষ কারণ রয়েছে। কেবল সবজি বিক্রি করে তিনি কোটিপতি হননি, রাতারাতি কোনও লটারিও জেতেননি। ঋষভের কয়েক মাসে কোটিপতি হওয়ার পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। যা জানতে পেরে তাজ্জব হয়ে যান গোয়েন্দারাও।

তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, বছর ২৭-এর ঋষভ শর্মা বাড়ির অদূরেই সবজি বিক্রি করে সংসার চালাতেন। করোনা মহামারীর সময় ব্যবসায় তাঁর প্রচণ্ড লোকসান হয়। সংসার চালাতে একেবারে হিমশিম খেয়ে যান তিনি। সেই সময় এক পুরানো বন্ধুর সঙ্গে নতুন এক ব্যবসার বিষয়ে কথা হয় ঋষভের। তারপর সেই বন্ধুর সঙ্গে প্রথমে বাড়িতে বসেই কাজ শুরু করেন ঋষভ। বলা ভাল, বাড়িতে বসে অনলাইন হ্যাকিংয়ের হাত পাকাতে শুরু করেন। তারপর ঘরে বসে চাকরির টোপ দিয়ে, ভুয়ো লিঙ্ক দিয়ে অনলাইন প্রতারণা করার অভিযোগ ওঠে ঋষভের বিরুদ্ধে। আর এভাবেই মাত্র ৬ মাসে ২১ কোটি টাকা আয় করে দেশের বড়-বড় প্রতারকদের মধ্যে ঋষভ একজন হয়ে ওঠেন বলে অভিযোগ।

ঋষভের শেষ শিকার ছিল দেরাদুনের এক ব্যবসায়ী। তাঁর থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন ঋষভ। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ঋষভের ওই বন্ধু তাঁকে একাধিক ব্যক্তির ফোন নম্বর দিয়েছিলেন। তারপর একটি নামী হোটেলের ভুয়ো লিঙ্ক দিয়ে সেটিতে রেটিং দেওয়ার আবেদন পাঠাতেন ঋষভ। রেটিং দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে দিতেন তিনি। তারপর আরও বেশি বিনিয়োগ করলে আরও লাভ হওয়ার কথা প্রলোভন দিতেন। সাধারণ মানুষ সেই প্রলোভনে পা দিয়ে বিনিয়োগ করলেই প্রতারণার শিকার হতেন। ওই ব্যক্তি আর কোনভাবে ঋষভের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন না। এছাড়া আধার কার্ড নম্বর হাতিয়েও অনলাইনে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। এরপর গত ২৮ অক্টোবর ঋষভকে গ্রেফতার করেন সাইবার গোয়েন্দারা।

সাইবার গোয়েন্দাদের তদন্তে জানা গিয়েছে, দেশের ১০টি রাজ্যের একাধিক প্রতারণার ঘটনায় ঋষভের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কেবল দেশে নয়, চিন, সিঙ্গাপুরের মতো দেশের অনলাইন অপরাধী গ্রুপের সঙ্গেও ফরিদাবাদের এই যুবকের যোগসূত্র গড়ে উঠেছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তবে এই যোগসূত্র গড়ে ওঠা ও প্রতারণার পিছনে ঋষভ একা নন, বড় কোনও চক্রের হাত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। সেই চক্রের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।