গাছের তলায় শাড়ি চেঞ্জ করেছি, আর রোদের তলায় নেচেছি: ‘স্ট্রাগল’ নিয়ে অকপট রচনা
Rachna Banerjee: ঠান্ডা ঘরের 'কমফোর্ট জোন' থেকে বেরিয়ে মাঠে ময়দানে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরে বেড়াচ্ছে আসন্ন লোকসভায় হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা অভিনেত্রী, আপাতদৃষ্টিতের চাকচিক্যে মোড়া তাঁর জীবন।
ঠান্ডা ঘরের ‘কমফোর্ট জোন’ থেকে বেরিয়ে মাঠে ময়দানে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরে বেড়াচ্ছে আসন্ন লোকসভায় হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা অভিনেত্রী, আপাতদৃষ্টিতের চাকচিক্যে মোড়া তাঁর জীবন। চৈত্রের রোদে গ্রামে গঞ্জে নেমে প্রচার, বিরোধীদের বাক্যবাণ– কোথাও গিয়ে কি কখনও মনোবলে আঘাত হানছে? ঠিক এই প্রশ্নই এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তাঁর কাছে রেখেছিল টিভিনাইন বাংলা। উত্তরে রচনা যা বললেন, তা তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদন।
রচনার সাফ কথা, এসি ঘর, আরাম তাঁর অভিনেত্রী জীবনে এই বছর কয়েক আগে এই সবের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। রোদে জ্বলে পুড়ে, মাটিতে বসে খেয়ে, ঘাম ঝরিয়ে অনেক কসরৎ করে শুটিং করতে হয়েছে তাঁকে। তিনি বলেন, “সেই ৯৪ সাল থেকে ২০১৫ অবধি রোদে জলে, গাছের ডালে ঝুলেই কাজ করে এসেছি। আজকে যখন প্রচারে যাচ্ছি তখন সত্যিই কষ্ট হয় না। জীবনের ভিতটাই তো রোদের তলায় কাজ করে।”
রচনা যোগ করেন, “আজকালকার আর্টিস্টরা এসি ভ্যানে বসে থাকে। নামে যখন ১৫জন ছাতা ধরে রাখে। আমরা গাছের তলায় শাড়ি চেঞ্জ করেছি, গাছের তলায় খেয়েছি আর রোদের তলায় নেচেছি। সেই জায়গা থেকে উঠে এসেছি তো, সেই কারণে আর এখন মাঠ আর রোদকে ভয় পাই না।” এই মুহূর্তে জোর কদমে প্রচার করছেন রচনা। ওই কেন্দ্রেই বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়, যিনি সেখানকার বিজয়ী সাংসদও বটে। লকেটকে হারিয়ে রচনা কি পারবেন নিজেকে মেলে ধরতে? উত্তর লুকিয়ে সময়ের হাতে।
View this post on Instagram