Kiwi for Hair Care: পাকা চুলের জ্বালায় অস্থির? হেয়ার কালার ছেড়ে এই ফল মাখুন মাথায়
Hair Care Remedies: পাকা চুলের সমস্যাকেও দূরে রাখে এই ফল। কিউইয়ের মধ্যে কপার রয়েছে, যা চুলে মেলানিন উৎপাদনে সহায়ক। এই উপাদান চুলের রং কালো বজায় রাখতে সহায়ক। তাই কম বয়সে চুল পাকলে হেয়ার কালারের বদলে কিউইয়ের সাহায্য নিন। চুলের যত্নে কীভাবে কিউই ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।
পুষ্টির জন্য কিউইয়ের রমরমা। বেরি প্রজাতির এই ফল ভিটামিন সি, এ এবং ই-এর মতো পুষ্টিতে ভরপুর। নিয়ম করে কিউই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। কিন্তু জানেন কি, এই গ্রীষ্মকালীন ফল আপনার চুল পড়া কমাতে পারে এক নিমেষে। নতুন চুল গজানো থেকে পাকা চুলের সমস্যা দূর করতে কিউই ভীষণ উপযোগী। ঘরোয়া টোটকায় চুলের সমস্যা দূর করতে চাইলে কিউইয়ের সাহায্য নিতে পারেন।
চুলের যত্নে কিউইয়ের উপকারিতা-
১) কিউইয়ের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। এই প্রোটিন চুলকে মজবুত করে তোলে এবং চুল পড়ার সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি ইউভি রশ্মি, তাপ, দূষণের জেরে চুলের যে ক্ষতি হয়, সেটাও দূর করে।
২) ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি ভিটামিন ই, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মতো উপাদান রয়েছে কিউইতে। এগুলো স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এতে খুশকির সমস্যাও কমে।
৩) পাকা চুলের সমস্যাকেও দূরে রাখে এই ফল। কিউইয়ের মধ্যে কপার রয়েছে, যা চুলে মেলানিন উৎপাদনে সহায়ক। এই উপাদান চুলের রং কালো বজায় রাখতে সহায়ক। তাই কম বয়সে চুল পাকলে হেয়ার কালারের বদলে কিউইয়ের সাহায্য নিন।
৪) স্প্লিট এন্ড দেখা দিলেই চুলের ডগা কেটে ফেলেন? এই ভুল আর করবেন না। ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি কিউয়ের মধ্যে ফোলেট, পটাশিয়াম ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এসব পুষ্টি চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং শুষ্কভাবকে প্রতিরোধ করে। এর জেরে দু’মুখো চুল, ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা বাড়ে না।
চুলের যত্নে যেভাবে কিউই ব্যবহার করবেন-
রোজ কিউই খাওয়ার মতো ভাল দিক আর কিছু হয় না। তবে, আপনি কিউইয়ের হেয়ার মাস্ক ও হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারবেন। কীভাবে বানাবেন, দেখে নিন।
১) হেয়ার মাস্ক বানানোর জন্য একটা কিউই ম্যাশ করে নিন। এতে ১ চামচ মধু ও নারকেল তেল মিশিয়ে দিন। এই মিশ্রণটি চুল ও স্ক্যাল্পে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার মাস্ক চুল ও স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ রাখবে।
২) কন্ডিশনার বানানোর জন্য একটি কিউই ম্যাশ করে নিন। এতে কয়েক চামচ টক দই কিংবা নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের আগা থেকে ডগা লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই কন্ডিশনার চুলের ফ্রিজিনেসকে দূর করবে। চুলকে নরম ও কোমল করে তুলবে।