বছর পয়লার মিষ্টিমুখ, বানিয়ে ফেলুন আমন্ড-রোজ ক্ষীর
আপনি চাইলে গোলাপ জল কিংবা গোলাপের পাঁপড়ি বাদ দিয়ে শুধু আমন্ড দিয়েও এই ক্ষীর তৈরি করতে পারেন।
রাত পেরোলেই বাংলার নতুন বছর শুরু হবে। বৃহস্পতিবার পয়লা বৈশাখ। আবহাওয়া যতই গরম হোক না কেন বৈশাখের পয়লা দিনে বাঙালি বাড়িতে জমিয়ে ভুরিভোজ মাস্ট। আর শেষপাতে রকমারি মিষ্টি না থাকলে কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে যাবে পেটপুজো। এবছর অবশ্য পয়লা দিনেও রয়েছে করোনা জুজুর ভয়। তাই অনেকেই এখন বাইরের কেনা মিষ্টি খাওয়ার রিস্ক নিতে পারছেন না। অতএব এবছর নববর্ষে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন আমন্ড-রোজ ক্ষীর। উপকরণ থেকে প্রণালী, কোনও কিছুতেই বিশেষ ঝামেলা নেই। সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় এই পদ।
কী কী লাগবে?
বাদামের ক্ষীর তৈরি করতে লাগবে ২ লিটার দুধ (ফ্যাট সমেত), ১২০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল, ৪০ গ্রাম গুঁড়ো চিনি, ৩ থেকে ৪ ফোঁটা গোলাপ জল, ১০ গ্রাম শুকনো গোলাপের পাঁপড়ি, ১০০ গ্রাম আমন্ড এবং ২৫ গ্রাম কুচিয়ে কাটা আমন্ড।
কীভাবে তৈরি করবেন এই আমন্ড-রোজ ক্ষীর?
প্রথমে ভাল করে অন্তত ২০ মিনিট ধরে পরিষ্কার ঠাণ্ডা জলে চাল ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটা পাত্র দুধ গরম হতে বসান। অল্প আঁচে দুধ জাল দেবেন। বারবার হাত দিয়ে নাড়িয়ে নেবেন। যতটা পরিমাণ দুধ নিয়েছেন, তার অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত জাল দিতে থাকুন। দুধ জাল দিয়ে ঘন হলে তার মধ্যে জল ঝরিয়ে চাল দিয়ে দিন। এরপর অল্প আঁচে দুধের সঙ্গে চাল মিশিয়ে ভাল করে জাল দিন। মিশ্রণ যেন ঘন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এরপর ওই মিশ্রণের মধ্যে কাটা বাদামগুলো অর্থাৎ আমন্ডগুলো মিশিয়ে দিন। মিহি করে আমন্ড কাটলেই ভাল। তবে টুকরো করে কাটলেও সমস্যা নেই। এরপর আরও ১৫ মিনিট ভাল করে ওই মিশ্রণ জাল দিন। তারপরে চিনি মেশাতে হবে। এরপর ওই মিশ্রণ আরও খানিকক্ষণ ভাল করে ফুটিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
মিশ্রণ ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ৩ থেকে ৪ ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। পরিবেশনের আগে বের করবেন। অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ফ্রিজে রাখুন ক্ষীর। পরিবেশনের আগে উপর থেকে বাদাম আর গোলাপের পাঁপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। এছাড়াও দিতে পারে অন্যান্য ড্রাই ফ্রুটস, যেমন- কাজুবাদাম বা কিশমিশ। আপনি চাইলে গোলাপ জল কিংবা গোলাপের পাঁপড়ি বাদ দিয়ে শুধু আমন্ড আর ড্রাই ফ্রুটস দিয়েও এই ক্ষীর তৈরি করতে পারেন।